সারা বিশ্বে মহামারীর রূপ নেওয়া করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রথম দিকে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। এমনকি ইউরোপে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয় ইতালির লম্বার্ডি অঞ্চলে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আজ পর্যন্ত ইতালিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৬ হাজারেরও বেশি এবং মারা গেছেন ৩৪ হাজার ১৬৭ জন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের অবহেলার অভিযোগে এবার তাই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হল দেশের প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তেকে। বাদ গেলেন না স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরাঞ্জাও। দেশটিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ও মৃতদের স্বজনদের আইনি আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদেরকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মারণ ভাইরাস থেকে এখনি নিস্তার নেই মার্কিন মুলুকের, আগামী কয়েক মাসে আরও ১ লক্ষ মৃত্যু
মৃত্যু মিছিলেও ভ্রুক্ষেপ নেই প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর, সৈকতে কবর খুঁড়ে প্রতিবাদে দেশবাসী
মহামারীর বিশ্বে এবার সুখবর শোনাল মডার্না, জুলাইতে হতে চলেছে ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পরীক্ষা
শুক্রবার ইতালির বেরগামোর প্রসিকিউটদের মুখোমুখি হতে হয় প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরাঞ্জাকে। ইতালির সরকারের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার কথা উল্লেখ করে বেরগামো প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে ৫০টি অভিযোগ দায়ের করে নই দিনানসেরেমো (উই উইল রিপোর্ট) নামের একটি সংগঠন।
কোভিড-১৯ আক্রান্তদের আত্মীয়দের নিয়ে গড়ে ওঠা এই সংগঠনটির অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, লম্বার্ডির দুই শহর আলজানো ও নেমব্রোকে প্রাদুর্ভাব শনাক্ত হওয়ার পর পরই এগুলোকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা উচিত ছিল। কোরনায় আক্রান্ত ও মৃতেদর স্বজনদের অভিযোগ, ভাইরাসের হটস্পটগুলো আরও আগে লকডাউন করা উচিত ছিল। করোনা মোকাবিলায় সরকারের গাফিলতি খতিয়ে দেখতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ইতালিতে করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কিত এটিই প্রথম আইনি প্রক্রিয়া। তবে এই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে তিনি মোটেও উদ্বিগ্ন নন বলে প্রতিক্রিয়া দেন ন প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে। তবে অনেকেই ইতালির কেন্দ্রীয় সরকার নয় বরং লম্বার্ডি অঞ্চলের স্থানীয় সরকার অর্থাৎ ডানপন্থী বিরোধী দলকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অবহেলার জন্য দায়ী করেছেন।
ইউরোপে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয় ইতালির লম্বার্ডিতে। পরিসংখ্যান বলছে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশটি।