কিম ইয়ো জং বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়া সামীন্ত পার করে বেলুনের মাধ্যমে লিফলেট ছড়িয়েছিল তাঁদের দেশে। সেই সময় লিফলেটের মাধ্যমে কোভিড ১৯ এর জীবাণুও ছড়িয়ে দিয়েছিল। K
প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ায় যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়েছিল সেই সময়ই জ্বর হয়েছিল কিমের। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে তেমনই জানিয়েছেন কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। যা নিয়ে নতুন করে জল্পনা দানা বাঁধছে যে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও করোনাভাইস নিয়ে একটি কথাও উচ্চারণ করেননি ইয়ো। তবে তাঁদের দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রামণ ছড়ানোর জন্য প্রতিবেশী তথা প্রধান প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়াকেই দায়ি করেছিলেন তিনি।
কিম ইয়ো জং বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়া সামীন্ত পার করে বেলুনের মাধ্যমে লিফলেট ছড়িয়েছিল তাঁদের দেশে। সেই সময় লিফলেটের মাধ্যমে কোভিড ১৯ এর জীবাণুও ছড়িয়ে দিয়েছিল। তাতেই তাঁদের দেশ বহু মানুষ নাকি কোভিড -১৯এ আক্রান্ত হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে- কোরিয়ন সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি।
উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিং কং উনের স্বাস্থ্য বরাবরই গোটা বিশ্বের কাছে একটি আলোচ্য বিষয়। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়া প্রশাসনও বরাবরই কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে রাখঢাক করে চলে। সেখানে কিম ইয়ো জং-এর এজাতীয় মন্তব্য কিম জং উনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার জল্পনাকে নতুন করে উস্কে দিয়েছে। উত্তর কোরিয়া সর্বদাই চেষ্টা করে কিং জং উনকে একজন মহানা নেতা হিসেবে তুলে ধরতে। যেখানে তাঁর কোনও অসুস্থতা থাকবে না, তিনি জনগণের লড়াইকে ভাগ করে নিচ্ছেন। সেখানেই কিং ইয়ো জং বলছেন তাঁর দাদা প্রবল জ্বরে ভুগেছিলেন। যা নিয়ে তিনি খুবই উদ্বেগে ছিলেন। তিনি আরও বলেছেন তাঁর দাদা এক মুহুর্তও শুয়ে থাকতে পারেনন না। তিনি দেশের জন্য সর্বদাই কাজ করে যান। কিন্তু কিন্তু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কিম এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে তিনি উঠতেই পারেননি। তবে কিম কবে থেকে জ্বরে আক্রান্ত তা অবশ্য জানাননি ইয়ো জং।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় কোভিড -১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দেশের বহু মানুষই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ায় কতজন কোভিড আক্রান্ত তা প্রকাশনি । সূত্রের খবর এই দেশে কোভিডের টেস্ট কিটের সংখ্যা খুবই কম। আর সেই কারণেই আক্রান্ত সঠিক সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। যাইহোক ওই দেশে যে কোভিড আক্রান্ত হচ্ছে প্রচুর মানুষ তা আর লুকিয়ে রাখতে পারেননি উত্তর কোরিয়া।
তবে গত মাসে টানা ১৭ দিন কিম জং উন প্রকাশ্যে আসেননি। উত্তর কোরিয়ার নেতা গ্রীষ্মকালের এই সময়টা তাঁর সমুদ্রতীরবর্তী প্রাসাদেই কাটিয়ে থাকেন। পাশাপাশি তাঁকে বিলাসবহুল একটি নৌকায় বিহার করতেও দেখা যায়। কিন্তু এবার সেখানে যাননি। বুধবারই কিম জং উন ক্ষমতাসীন দলের সভায় যোগ দিয়েছিলেন। তিনি যেখানে তিনি 'মহান কোরিয়ার যুদ্ধে জয়ের' জন্য তাঁর পূর্ব প্রজন্মের কথা তুলে ধরেছিলেন।
তবে কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং-এর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ইয়ো জংএর দাবিগুলিকে অভদ্র ও অপ্রমাণিত বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে। সিওলের বিরুদ্ধে এজাতীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্কের তিক্ততা আরও বাড়াচ্ছে বলেও দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ ২০১৭ সালের পর আবার নতুন করে সরকারিভাবে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করার জন্য পিংয়ইয়ং প্রস্তুত। সেই জন্য আসল বিষয়ের দিয়ে নজর ঘোরাতে এজাতীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য করছে উত্তর কোরিয়া- দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা। তবে কিম সত্যি অসুস্থ হয়েছিলেন তা নিয়ে গুপ্তচর বাহিনীর কাছে কোনও খবর নেই বলেও সূত্রের খবর।
৯৭ বছর পরে দেখা মিলল হারিয়ে যাওয়া ফুলের , নতুন করে উৎসহ সংরক্ষণবীদদের মধ্যে