ভারতীয় নৌবাহিনী সূত্রের খবর পিএনএস রিজওয়ান পরিচালনা করবে পাকিস্তান নৌবাহিনী। পাশাপাশি চিনা সেনা বাহিনীর সঙ্গেও ঘনিষ্টভাবে কাজ করবে।
ভারতের শক্তিশালী নৌবাহিনীর মোকাবিলায় এবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল পাকিস্তান। বন্ধু চিনের সৌজন্যে পাকিস্তান প্রথম গবেষণা জাহাজ বা গুপ্তচর জাহাজ পেল। নাম পিএনএস রিজওয়ান (PNS Rizwan)। চিনের দান করা যুদ্ধ জাহাজ দিয়েই ভারতীয় নৌশক্তির মোকাবিলা করতে চাইছে। ভারতের আইএনএস ধ্রুবের মতই শক্তিশালী এটি। ধ্রুব ২০২১ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এটি স্যাটেলাইট ও ব্যালিস্টিক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ট্র্যাক করার ক্ষমতার অধিকারী।
ভারতীয় নৌবাহিনী সূত্রের খবর পিএনএস রিজওয়ান পরিচালনা করবে পাকিস্তান নৌবাহিনী। পাশাপাশি চিনা সেনা বাহিনীর সঙ্গেও ঘনিষ্টভাবে কাজ করবে। ক্ষেত্রে পিএনএস রিজওয়ান পাকিস্তানের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। পিএনএস রিজওয়ান পাকিস্তানকে ভারত, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশি ও চিনের সমকক্ষ করে দিয়েছে। বিশ্বের এইকটি দেশের হাতেই রয়েছে এজাতীয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ।
রাষ্ট্র সংঘের অধিবেশনে পাকিস্তানকে ধুইয়ে দিল ভারত, বললন, 'প্রতিবেশীর বক্তব্য ভাঙা রেকর্ডের মত'
পিএনএস রিজওয়ান হল চিনের পাকিস্তান কার্ড। বিশেষজ্ঞদের কথায় পাকিস্তানের মত গুরুত্বপূর্ণ দেশকে শক্তিশালী করতে ও ভারত মাহাসাগরে আরও বেশি প্রাধান্য বিস্তারেই চিন এজাতীয় পদক্ষেপ করেছে। পাকিস্তান নোবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে ভারতকে কড়া বার্তা দিতে চেয়েছ চিন। ওপেস সোর্স ইন্টেলিজেন্সের বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন এক্স -এ বলেছেন, পাকিস্তানের এই অধুনিকীকরণের প্রচেষ্টাকে চিন ভারত মহাসাগর অঞ্চলে তার কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে এক লাইনে দাঁড়াবে। যার লক্ষ্য হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের সমক্ষতা বৃদ্ধি করা।
২০২৩ সালের জুনে চিন থেকে জাহাজটি পাঠান হয়েছে। পিএনএস রিজওয়ানের অন্তর্ভুক্তির অনুষ্ঠানও ছিল সাদামাটা। গত বছর থেকেই এটি চলাচল শুরু হয়। গতিবিধি লক্ষ্য করেছিল বিদেশীরা। মে জুন মাসে এই গুপ্তচর জাহাজ ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত এসেছিল। জাহাজটি স্বয়ংক্রিয় সনাক্তকরণ সিস্টেম চালু করেনি। জাহাজটি ফুঝোতে তৈরি করা হয়েছে। যেখানে ফুজিয়ান মাওয়েই শিপবিল্ডিং লিমিটেড রয়েছে। এটি ১৮৬৬ সালে তৎকালীন চিনা সরকার তৈরি করেছিল। এখানে মূলত চিনা যুদ্ধ জাহাজ তৈরি হয়।
পাকিস্তান নৌবাহিনীতে পিএনএস রিজওয়ানের সাম্প্রতিক অন্তর্ভুক্তি ভারতের কাছে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ। কারণ এটি ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পাশাপাশি মানচিত্রে সমুদ্র সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারে। যা ভারতীয় নৌবাহিনীকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলবে।