Hindu temple: মাথা তুলছে জার্মানির সবথেকে বড় হিন্দু মন্দির, স্বপ্নপুরণের পথে ৭০এর প্রবাসী ভারতীয়র

কৃষ্ণমূর্তি বলেছেন, কোনও নির্মাণ কাজের জন্য কুড়ি বছর অনেকটা সময়। সেটা বার্লিনের মত আধুনিক শহরেও জন্যও বেশি সময়।

 

২০ বছর আগের প্রচেষ্টা সফল হতে চলেছে। তাই ৭০ বছর বয়সী ভিলওয়ানাথন কৃষ্ণমূর্তিকে বিশ্বের সবথেকে সুখী ব্যক্তি বলা যেতে পারে। তিনি জার্মানিতে হিন্দু মন্দির তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েই মন্দির তৈরির উদ্যোগ নেন তিনি। বর্তমানে যে হিন্দু মন্দিরটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে। কারণ পরিকাঠামো স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। মন্দিরে রঙের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন,'আমরা দেবতার জন্য অপেক্ষা করছি।'

কৃষ্ণমূর্তি বলেছেন, কোনও নির্মাণ কাজের জন্য কুড়ি বছর অনেকটা সময়। সেটা বার্লিনের মত আধুনিক শহরেও জন্যও বেশি সময়। তবে মন্দির নির্মাণ করতে গিয়ে অতিথি কর্মীরাও বর্তমানে জার্মানির বাসিন্দা হয়ে উঠেছেন। জার্মানির রাজধানী ধর্মীয়ভাবে বৈষম্যযুক্ত।

Latest Videos

কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন, প্রায় ৫০ বছর আগে স্ত্রীকে নিয়ে পশ্চিম বার্লিনে এসেছিলেন।বৈদ্যুতিক কোম্পানি AEGতে তিনি খুব অল্প পারিশ্রমিকে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করতেন। তারপর ধীরে ধীরে জার্মানিতেই প্রতিষ্ঠা পান। সেখানে একটি মন্দির তৈরির ইচ্ছে হয়। অনেক প্রতিকূলতা কাটিয়ে তিনি মন্দির নির্মাণের কাজে হাত দেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই মন্দিরটি তাঁর একটি স্বপ্ন, যা বাস্তব হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, হিন্দু হিসেবে জার্মানিতে বসবাসকারীরা বাড়িতে সব ধর্মীয় আচার পালন করেন। কিন্তু মন্দির থাকলে অনেকের সঙ্গে মিলিত হয়ে ধর্মীয় আচার পালন করা যায়। তাই তিনি মন্দির নির্মাণে উদ্যোগী হন। তিনি আরও বলেন, সেখানে বন্ধুবান্ধব সকলেই আনন্দ করতে পারবেন উৎসবে।

শ্রী-গণেশ হিন্দু মন্দির নির্মাণের সমিতি 2004 সাল থেকে সক্রিয় রয়েছে। এর অল্প সময়ের মধ্যেই, জেলা কর্তৃপক্ষ সমিতিকে ক্রুজবার্গ, নিউকোলন এবং টেম্পেলহফ জেলার মধ্যে হাসেনহাইড পার্কের প্রান্তে জমির প্লট অফার করে।

এই মন্দিরটি বার্লিনের সবথেকে উঁচু ভবন আমাজন টাওয়ার নামে পরিচিত। নির্মীয়মাণ মন্দির থেকে এটি মাত্র ১.৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই এলাকাটি রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ। মন্দির তৈরিতে স্থানীয় হিন্দু তরুণরা এগিয়ে এসেছে ভারতীয় দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী জার্মানিতে ১৫ হাজার ভারতীয় বাস করে। জার্মানিতে বসবাসকারী ভারতীয়ের সংখ্যা ২০ হাজার। এই মন্দিরটি প্রায় ১৬ মিটার উঁচু। প্রচুর মানুষ মন্দির তৈরির কাজে এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু এখনও মূর্তি নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি ভারত থেকে মূর্তি নির্মাণের সামগ্রী সেখানে পৌঁছে যাবে। নভেম্বরে দীপাবলির সময় মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করতে চান বলেও জানিয়েছেন কৃষ্ণমূর্তি।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘Chinmoy Krishna-কে আমি মুক্ত করবোই’ নির্ভীক Bangladeshi আইনজীবী Rabindra Ghosh-এর চরম প্রতিশ্রুতি
Rashifal : আজ আপনার ভাগ্য কি বলছে? দেখুন শুক্রবারের রাশিফল | Astro | Friday | Horoscope
আরে ওরা কি করবে, সেদিন আমি ওদের সামনে আরতি করে বুঝিয়ে দিয়েছি : শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
নয়া মোড় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়! পার্থ-অর্পিতাদের বিরুদ্ধে শুরু হলো চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া!
মাত্র এক মাসের সংসার! যৌতুক না দিতে পারায় এইরকম পরিণতি, শুনলে আঁতকে উঠবেন | South 24 Parganas News