শহরের বুকে শীত আসন্ন, প্রতিবছর জানান দেয় ভূটানিদের স্টল

  • শহর কলকাতায় ভূটানিদের স্টল
  • দিন দিন কমছে গরম পোশাকের চাহিদা
  • জানুয়ারি মাস পর্যন্ত থাকবে এই স্টলগুলি
  • শীতের মরশুমে ভূটানের গরম জামা

Jayita Chandra | Published : Dec 20, 2019 1:13 PM IST / Updated: Dec 20 2019, 06:44 PM IST

পুজোর মরশুম কাটতে না কাটতেই কলকাতার বুকে পাড়ি দেয় ভূটানিরা। সুদূর পাহাড় থেকে নেমে এসে আস্তানা তৈরি করে কলকাতার দুই এলাকায়, ওয়েলিংটন ও হেদুয়া। রাস্তার ধারে সারি সারি দোকান। সেখানেই মেলে বিভিন্ন ধরনের গরম পোশাক। পাহাড়ের বুকে বসে তৈরি করা সীমিত কিছু পোশাক নিয়েই ব্যবসার করে এরা সারা শীত জুড়ে। ওপরে ঠান্ডার দাপট। সেখান থেকে নেমে এসে কলকাতায় শীতের মরশুম কাটিয়ে যাওয়া। শীত পড়ার কিছুদিন আগে থেকেই এখানে স্টল দেওয়া শুরু হয়। 

আরও পড়ুনঃ জাঁকিয়ে শীত রাজ্যে, আগামী ৪৮ ঘন্টায় শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা জারি

দাম সাধ্যের মধ্যে। তবে বর্তমানে একাধিক শপিং মল ও বড়বাজারের পসারের ফলে তেমন একটা বিক্রি হয় না হলেও চাহিদা ভালোই থাকে। তবে মরশুম শেষে কিছু পোশাক রয়েই যায়। এখানে পোশাক মেলে ৩০০ টাকা থেকে, সর্বাধিক দাম ১৭০০ টাকা। তবে অধিকাংশ স্টলেই দেখা মেলে না ভূটানিদের। স্থানীয় বা ক্রেতাদের ধারনা এগুলো বোধহয় এখানকার দোকান, সত্য মোটেও এটা নয়। এই দোকানগুলিতে স্থানীয়তের ব্যবসা করার কোনও অনুমতি নেই। হিমাচল কিংবা ভূটান থেকেই পোশাক পাঠানো হয়। তবে অনেকেই নিজে না এসে কিছু এজেন্টের দ্বারা পোশাক বিক্রি করেন, সে ক্ষেত্রে স্থানীয়রা বিক্রি করে থাকেন। 

আরও পড়ুনঃ কনেকনে ঠান্ডাতেও ভর্তি আইসিসিআর কলকাতা, বাঙালির ঐতিজ্য়কে ছুঁয়ে গেল 'বাবু বিবি সংবাদ'

চলতি বছরও শহরের ছবিটা একই, নভেম্বর মাসেই এসেছে ভূটানির দল। এখনও পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ভালোই মোট স্টল সংখ্যা ৯৫। মিলছে সব বয়সের সব ধরনের গরম পোশাক। বিকেলের দিকে ভিড় বাড়ছে বেশি। স্টলগুলি খোলা থাকে সকাল ১১ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে এখানে কোনও দরাদরি হয় না। একদামেই কিনতে হবে জিনিস। এখানকার এক বিক্রেতা দোমা জানান, প্রতিবছরের থেকে এবছর বিক্রি খানিকটা কম হয়েছে। তবে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বাড়ে গরম পোশাকের। আগে এই পোশাকগুলো হাতেই তৈরি করা হত, বর্তমানে তা তৈরি করা হয় মেশিনে। জানুয়ারী মাস পর্যন্ত থাকবে এই স্টলগুলি। 

Share this article
click me!