জিন্সের প্যান্টের কোমরের কাছে প্লাস্টিক দিয়ে মোড়া ছিল সোনার মলম। যার ওজন প্রায় ১ কিলো ৬০০ গ্রাম। আর এর বাজার মূল্য প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা। দুবাই থেকে সেই সোনা নিয়ে এসে কলকাতায় বেচে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল পাচারকারীরা।
প্রতিবারই অভিনব কায়দায় বিমানবন্দর (Kolkata Airport) দিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা করে পাচারকারীরা (Smuggler)। কিন্তু, বেশিরভাগ সময়ই তাদের সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিতে দেখা যায় শুল্ক দফতরের (Custom Department) আধিকারিকদের। এবারও তার অন্যথা হল না। বিমানবন্দরে ফের অভিনব কায়দায় সোনা (Gold) পাচারের চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা। আর এবারও তা ভেস্তে দিল শুল্ক দফতর। প্রায় দেড় কেজি করল সোনা সহ গ্রেফতার (Arrest) করা হল দু'জনকে।
জিন্সের প্যান্টের (Jeans Pant) কোমরের কাছে প্লাস্টিক দিয়ে মোড়া ছিল সোনার মলম (Gold Paste)। যার ওজন প্রায় ১ কিলো ৬০০ গ্রাম। আর এর বাজার মূল্য প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা। দুবাই থেকে সেই সোনা নিয়ে এসে কলকাতায় বেচে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল পাচারকারীরা। কিন্তু, শুল্ক দফতরের তৎপরতায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। আর সেই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধারের পর গ্রেফতার করা হয়েছে দু'জনকে।
আরও পড়ুন- নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে উপচে পড়া ভিড় গঙ্গাসাগরে, ভোর থেকেই চলল স্নান-পুজো
ঠিক কীভাবে রাখা হয়েছিল ওই সোনা?
জিন্সের প্যান্টের কোমরের কাছে সেলাই করে রাখা ছিল প্লাস্টিকে মোড়া পেস্ট। যা আসলে সোনা। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজেনের সোনা মলম। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই সোনা কোথায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সাম্প্রতিক কালে আন্তর্জাতিক চোরাকারবার চক্র মলমের আকারে সোনা পাচার করছে। তবে কলকাতার ঘটনাই প্রথম নয়। এর আগে চলতি মাসেই তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শারজা থেকে আসা এক ব্যক্তির পায়ে বাঁধা ব্যান্ডেজ থেকে ৯৭০ গ্রাম সোনার মলম উদ্ধার হয়েছিল। যার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকা। ১১ জানুয়ারি হায়দরাবাদের শুল্ক আধিকারিকরা এ কথা জানিয়েছিলেন।
শুল্ক দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সোনা পাচারের নতুন এই প্রক্রিয়াটি সম্প্রতি খুব বেড়ে গিয়েছে। কারণ, এই ভাবে সোনা পাচার করা হলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে। সোনাকে গলিয়ে তার মধ্যে খাদ এবং বিভিন্ন রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই মলম। বিমানবন্দরে মেটাল ডিটেক্টরে যা সহজে ধরা পড়ে না। পাচারের পর রাসায়নিক এবং খাদ আলাদা করার জন্য প্রথমে ওই পেস্টকে পাউডারে পরিণত করা হয়। তারপর তার থেকে আলাদা করা হয় সোনা।