করোনার জেরে চলতি বছরের দুর্গাপুজোর বাজেটে বড়সড় কোপ পড়তে চলেছে। আয়োজকদের তরফে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে, করোনার প্রকোপে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রীতিমতো ভারসাম্য় হারিয়েছে। এই অবস্থায় কর্পোরেট বিজ্ঞাপন এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে অনেকটাই এবং যার দরুণ পরবর্তীতে হয়তো তা আরও নেমে আসে পারে।
নজিরবিহীন, পয়লা বৈশাখে এবার আর লেখকে-পাঠকে দেখা হবে না বই পাড়ায়, বেরোবে না নতুন বই
সামনের অক্টোবরেই দুর্গাপুজো। কলকাতার বিগ বাজেটের পুজোগুলি প্রায় তাঁদের গতবারের বাজেটের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাজেট কমাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 'ফোরাম ফর দুর্গোৎসব', শহরে দুর্গাপুজোর আয়োজকদের যে সংগঠন রয়েছে তাদের তরফেই বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। পুজো প্যান্ডেলগুলিতে বাজেট মূলত যে যে ভিত্তিতে সাজানো হয় তা হল মণ্ডপের সাজসজ্জার জন্য ৪০ শতাংশ, আলোকসজ্জার জন্য ১৫ শতাংশ, ১০ থেকে ১৫ শতাংশ দুর্গা প্রতিমার খরচে এবং বাকি ৩০ শতাংশ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খাওয়া-দাওয়া, সমাজকল্যাণমূলক নানান কাজ, বিসর্জন ইত্যাদিতে খরচ করা হয়। পুজো আয়োজকদের তরফে এমনই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, দু'ঘণ্টায় বদলে গেল সংখ্যা, রাজ্য়ে করোনায় মৃত কমে ৩, আক্রান্ত ৩৪
শহরের অন্যতম বড় পুজো বোসপুকুর শীতলা মন্দিরের আয়োজকরা জানিয়েছেন, 'গত বছর আমাদের বাজেট ছিল ৫৫ লক্ষ টাকা। আর সেটাই এই বছরে হচ্ছে ৩০ লক্ষ টাকা।' পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম বড় পুজো দেশপ্রিয় পার্কের সুদীপ্ত কুমার জানিয়েছেন, 'গত বছর আমাদের বাজেট ছিল ৬৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু সেখানেও প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মতো ঘাটতি ছিল। আর এই বছর তো পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। তাই খুবই কাটছাঁট করে পুজো করতে হবে চলতি বছরে।'গোটা পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। আর পুরো কলকাতাতেই সেই সংখ্যাটা প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। ব্যক্তিগত অনুদান, চাঁদা মিলিয়ে বাজেটের ২৫ শতাংশ টাকা উঠলে বাকি ৭৫ শতাংশ টাকা আসে কর্পোরেট ফান্ডিং এবং বিভিন্ন বিজ্ঞাপন থেকেই।
ফের তথ্য গোপন করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের ভাইয়ের, আইসোলেশনে ভর্তি বরানগরের বাসিন্দা
জ্বর নিয়েই ট্রেন করে একটানা অফিস, ভয়ে কাঁটা রাজ্য়ের করোনা আক্রান্তর সহকর্মীরা
রাজ্যে আরও এক করোনা আক্রান্তের হদিশ,সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২২