কীভাবে ওই ২৫জনকে নিয়োগ করা হয়েছে তার সদুত্তর খোদ স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছেও নাকি নেই। গ্রুপ- ডি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আজ কমিশনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টকে একথা জানানো হয়েছে। আর কমিশনের কথা শোনার পরই ওই ২৫ জনের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের (Group D Post) বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। তখন ১৩ হাজার নিয়োগ হয়। এরপর ২০১৯ সালের মে মাসে গ্রুপ ডি প্যানেলের (Group D Panel) মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু, তারপরও একাধিক নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। তার মধ্যে থেকে ২৫ জনের নিয়োগের কথা জানা গিয়েছে। প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও কীভাবে নিয়োগ হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও কীভাবে ওই ২৫জনকে নিয়োগ করা হয়েছে তার সদুত্তর খোদ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) কাছেও নাকি নেই। গ্রুপ- ডি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আজ কমিশনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টকে (Kolkata High Court) একথা জানানো হয়েছে। আর কমিশনের কথা শোনার পরই ওই ২৫ জনের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল ২০১৯ সালে। কিন্তু, তারপরও নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। সেই মতো তখন নিয়োগ হওয়া ২৫ জনের নাম এসে পৌঁছেছে হাইকোর্টের কাছে। এদিকে কীভাবে তাঁদের নিয়োগ হয়েছে তা নিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকার রয়েছে খোদ কমিশন। আজ মামলার শুনানির সময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়, কীভাবে ওই ২৫ জনের নিয়োগ হল, তার ব্যাখ্যা নেই তাদের কাছে। এমনকী, নিয়োগ নিয়ে কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্তের দাবিও জানায় তারা। এরপরই ওই ২৫ জনের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। মামলা যতদিন না পর্যন্ত শেষ হচ্ছে ততদিন ওই ২৫ জনের বেতন বন্ধ থাকবে। ২ বছর ধরে চাকরি করছিলেন ওই কর্মীরা।
আরও পড়ুন- তারাপীঠে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করা সৌর উনুন, আহত ৪
গতকাল এই মামলায় নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ সকালেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিবকে তলব করা হয়েছিল আদালতের তরফে। সেই মতো উপস্থিত হন সচিব। আজ দুপুর ৩টে পর্যন্ত কমিশনকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল। এরপর শুনানি শুরু হলে আদালতে কমিশনের তরফের আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, কমিশন এই ২৫ জনের নিয়োগের বিষয়ে কিছু জানে না। পাশাপাশি কমিশনের নামের সঙ্গে এই ধরনের অভিযোগ জুড়ে যাক সেটাও কমিশন চায় না। তাই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে এর তদন্ত করাতে চায় কমিশন। যদিও এ দিন কাউকেই তদন্তভার দেওয়া হয়নি। এদিকে, ২ বছর ধরে কীভাবে ওই ২৫ জন চাকরি করছেন, কার মাধ্যমে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন তার কিছুই জানে না কমিশন। তাই আদালতের তরফে ওই ২৫ জনের বেতন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামীকাল ওই ২৫ জনকে আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- ১ জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে পালিত হবে 'ছাত্র দিবস', ঘোষণা মমতার
এনিয়ে কমিশনকে আজ হলফনামা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। সেই মতো হলফনামায় কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তারা এই চাকরির সুপারিশ করেনি। কমিশনের কোনও আঞ্চলিক অফিস থেকে চাকরিগুলি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে শুধুমাত্র ২৫ জনের নয় অন্তত পক্ষে ৫ হাজার জনের চাকরি হয়েছে।
আরও পড়ুন, Midnapore: 'BJP করি বলেই মেলেনি সরকারি প্রকল্পের বাড়ি', শীতে অসহায় সাফাই কর্মীর পরিবার