আসলে আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে খুলে যাচ্ছে স্কুল ও কলেজ। এদিকে স্কুল-কলেজে যাওয়ার জন্য বহু পড়ুয়াই মেট্রোর উপর নির্ভর করে। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে, তাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য কলকাতা মেট্রো রেলের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কলকাতায় (Kolkata) ফের বাড়ানো হচ্ছে মেট্রোর সংখ্যা (Number of Metro)। ১৫ নভেম্বর (15 November) অর্থাৎ সোমবার থেকে বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা। পাশাপাশি সময়সীমাও (Metro Time) বাড়ছে। এতদিন সকালে মেট্রো পরিষেবা (Metro Service) শুরু হত সকাল সাড়ে ৭টায়। তবে সোমবার থেকে সেই পরিষেবা সকাল সাড়ে ৭টার পরিবর্তে সকাল ৭টা থেকেই পাওয়া যাবে। ওই দিন থেকে মোট ৬টি অতিরিক্ত মেট্রো (6 More Metro) রেল পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে।
আসলে আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে খুলে যাচ্ছে স্কুল ও কলেজ (School and College)। এদিকে স্কুল-কলেজে যাওয়ার জন্য বহু পড়ুয়াই মেট্রোর উপর নির্ভর করে। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে, তাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য কলকাতা মেট্রো রেলের (Kolkata Metro Rail) তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে স্কুল কলেজ শুরু হয়ে গেলে মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে বলে অনুমান করছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। তাই সেই সময় যাতে পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা না হয় তার জন্যই তিন জোড়া ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভিড় মণ্ডপে, হুগলিতে শিথিল নাইট কারফিউ
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে এর আগেও একাধিকবার মেট্রো রেলের পরিষেবা বাড়াতে দেখা গিয়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোর মতো উৎসবের দিনগুলিতে ট্রেনে যাতে খুব ভিড় না হয় তার জন্য বাড়তি পরিষেবা চালু রেখেছিল মেট্রো রেল। আর এবার স্কুল, কলেজ খোলার মুখে আরও একবার যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে ফের অতিরিক্ত পরিষেবা চালু করছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- নিয়ম ভেঙে একই হাসপাতালে বহু বছর, ৬ হাজার চিকিৎসকে বদলির সিদ্ধান্ত
এর আগে কালীপুজোর দিন রাত পর্যন্ত চালু ছিল মেট্রো পরিষেবা। ওইদিন প্রথম মেট্রো পরিষেবা শুরু হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর ও কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরে ওই সময়ে প্রথম মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়। সকাল ও বিকেলে ব্যস্ত সময়ের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা ৭ মিনিট অন্তর অন্তর ছিল। আর রাতে দক্ষিণেশ্বর থেকে শেষ ট্রেন ছেড়েছিল রাত ৯টা ১৮ মিনিটে। দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত সাড়ে ৯টায়। আর রাত ১০টায় কবি সুভাষ থেকে শেষ ট্রেন ছেড়েছিল। তা রাত ১১টা নাগাদ দক্ষিণেশ্বরে পৌঁছায়। আসলে কালীপুজোর রাতে কলকাতার পাশাপাশি শহরতলীর বহু ভক্ত যাতে সহজেই কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বরে যেতে পারেন তার জন্যই পরিষেবা চালু রাখা হয়েছিল। তবে পুজোর সময়ও টোকেন পরিষেবা চালু হয়নি। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমেই যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়েছে। ওই সময় এমন অনেক যাত্রী মেট্রোয় যাতায়াত করেছেন, যাঁরা নিয়মিত মেট্রোয় যাতায়াত করেন না। ফলে সেই সব যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই অতিরিক্ত ৬ লক্ষ স্মার্ট কার্ড রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- রাজ্যে কমছে শীত শীত আমেজ, বাড়ছে তাপমাত্রা
এখন অবশ্য কলকাতায় শুধুমাত্রই মেট্রোর এসি রেক চলছে। ২৪ অক্টোবর গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে চিরবিদায় জানানো হয় নন-এসি রেককে। কলকাতা মেট্রোর ৩৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসে দীর্ঘদিন ধরে পরিষেবা দেওয়া নন-এসি রেকটিকে এভাবেই চিরবিদায় জানানো হয়েছিল। নন-এসি রেকের মধ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল।