Ritam Talukder | Published : Apr 13, 2020 2:35 PM IST / Updated: Apr 14 2020, 12:33 AM IST
সারাদিনের সব কথায়-গল্পে-আড্ডায়-চিন্তাভাবনায়-গানে-প্রেমে-রান্নায় সবজায়গায় বোধয় করোনা ছুঁয়ে গেছে। তবে হ্য়াঁ লকডাউন পরিস্থিতিতে নববর্ষে পয়লা বৈশাখকে ঘিরে কার কেমন অনুভূতি তা নিয়ে মন খুলে জানালেন আমাদের সংবাদ মাধ্য়মকে- গৃহবন্দি অভিনেতা-অভিনেত্রী-ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর-প্রসেস ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার, এরিয়া সেলস ম্য়ানেজার থেকে শুরু করে রাজ্য়ের এপিডেমিওলজিস্ট।
অভিনেতা অনিন্দ্য় চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখ মানেই সাঁতার কাটার অন্য়তম সুযোগ। কারণ এই সময়টায় কলকাতার সব সুইমিং ক্লাবগুলি সেশন শুরু করত। উত্তর-কলকাতায় বড় হয়ে ওঠার সঙ্গে পয়লা বৈশাখের অনেক ভাললাগাই জড়িয়ে আছে। তার মধ্য়ে প্রতিবছর এই দিনটায় বাড়িতে মিষ্টি আসত, কিন্তু এবার তা আসবে না। এই মুহূর্তে বাড়িতে ওয়েবসিরিজ দেখে, জমিয়ে রান্না-বান্না করে সময় কাটছে। তবে এই পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে শুভ নববর্ষ বলা কতটা সমীচিন জানিনা। অন্তত এবারের পয়লা বৈশাখটা মোটেই সেলিব্রেট করার মত নয়।
অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ জানালেন, ছোট বেলায় পয়লা বৈশাখে নতুন জামাকাপড় এবং বড়দের থেকে আশীর্বাদ হিসেবে টাকা পাওয়া এক অন্য়তম স্মৃতি। তবে অন্য়বছর পয়লা বৈশাখে বন্ধু-বান্ধব মিলে খাওয়া-দাওয়া অনেক আনন্দ হয়। এবার তার প্রশ্নই ওঠে না। এমন টা নয় যে পয়লা বৈশাখ আর ফিরে আসবে না। তার থেকে বরং এখন এই গ্লোবাল ক্রাইসিসে সবাইকে নিয়েই ভাবা উচিত।
ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন-এর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর সপ্তর্ষি দে জানালেন, আগে প্রতি বছর এই দিনটায় মা-বাবার সঙ্গে সারাদিন কাটাতাম। নতুন জামাকাপড় আর সুন্দর করে খাওয়া-দাওয়া হত। তবে এবছর তা হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে গৃহ বন্দি হয়ে সারাদিন প্রোজেক্টের কাজ করতে করতেই রাত হয়ে যায়। তাই এবছর আলাদা করে কিছুই মনে হচ্ছে না।
রাজ্য় সরকারের নন কমিউনিকেবেল ডিজিসের জেলা এপিডেমিওলজিস্ট পুস্পেন্দু বিশ্বাস জানালেন, প্রতিবছর বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে এই দিনটায় ঘুরতে যাই- প্রচুর খাওয়া-দাওয়া হয়। তবে এবছর কাজের সূত্রে বাড়ি থেকে দূরে আছি। লকডাউনে করোনা-কন্ট্রোলরুমে বসে কাজ করতে গিয়ে পয়লা বৈশাখের অনুভূতি মোটেই আসছে না।
ইউওপি হানিওয়েলের প্রসেস ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার অন্বেষা ঘোষ জানালেন, পয়লা বৈশাখে ছোটবেলাটা দারুন কাটত। মা-এর সঙ্গে নতুন পোশাকে সন্ধে বেলা হাল খাতা করতে বেরোনো , মিষ্টির প্য়াকেট আর নতুন ক্য়ালেন্ডার দারুণ এক নস্টালজিয়া। তবে এখন আমি আর আমার বর মিলে ওয়ার্ক ফর্ম হোম করছি। তাই এই পরিস্থিতেতে কিছুই পয়লা বৈশাখের অনুভূতিটা আসছে না। তবে হ্য়াঁ খেতে ভালবাসি। আমাদের এখানে মাংসের দোকান বন্ধ, এটায় একটু কষ্ট হচ্ছে।
ডমিনো প্রিন্টটেক-এর এরিয়া সেলস ম্য়ানেজার অমৃত চট্টোপাধ্য়ায় জানালেন, এবছর পয়লা বৈশাখের আনন্দটা খুব মিস করবেন। কারণ প্রতিবছরই পরিবারের সঙ্গে নতুন পোশাক পরে ঘুরতে যাওয়া পেট পুরে খাওয়া-দাওয়া হয়। এবছরও তেমন প্ল্য়ানিং ছিল। কিন্তু করোনা এসে সব আনন্দ মাটি করে দিল।