রাজ্যের সকল বাসিন্দাকে সচেতন হতে পরামর্শ
বিদেশ থেকে ফেরা নাগরিকদেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ
নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রীর নিশানা সংবাদ মাধ্যমকেও
কলকাতায় প্রথম করোনা আক্রান্ত সরকারি আধিকারিকের ছেলে। আক্রান্তের মা নাকি আবার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক। তাঁরই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কথা সামনে আসতেই রীতিমত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ভিআইপি থেকে এলআইপি সকলকেই সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে যেতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। প্রয়োজনে বাড়িতেও নজরবন্দি হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু অসাবধানতা কিছুতেই তিনি বরদান্ত করবেন না বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ লুকিয়ে যাওয়া চলবে না। সংক্রমণ রুখতে বিদেশ থেকে ফেরা নাগরিকদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কার দখলে থাকবে মধ্যপ্রদেশ, শীর্ষ আদালতে তুমুল বিতর্ক কংগ্রেস-বিজেপির
আরও পড়ুনঃ করোনার সংক্রমণ রুখতে রীতিমত গানের তালে পা মেলাল কেরল পুলিশ, দেখুন সেই ভিডিও
আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কে ভীত বৃদ্ধ দম্পতির পাশে দাঁড়িয়ে জনপ্রিয়, নেটিজেনদের প্রশংসায় সহমর্মিতার গল্প
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে তরুণ করোনার জীবানুতে আক্রান্ত তিনি এই রাজ্য থেকে সংক্রমিত হননি। ফিরেছিলেন লন্ডন থেকে। সেখান থেকেই সংক্রমিত হয়েছেন। সরকারি হাসপাতালের পরামর্শ না মেনে তিনি একাধিক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। এমন অসাবধনতা আর তিনি মেনে নেবেন না বলেও জানিয়েছেন। গতকাল রাতই আক্রান্তের কথা সামনে আসে। ভর্তি করা হয় বেলেঘাটা আইডিতে। কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হয় তাঁর মা, বাবা ও গাড়ির চালককে। সেই সেই তরুণের প্রসঙ্গে উত্থাপন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আন্তর্জাকিত বিমান বন্দরে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কী ভাবে হয়েছিল পরীক্ষা, যে ধরাই পড়ল না সংক্রমণ।
সংবাদ মাধ্যমকেও রীতিমত হুঁশিয়ারি দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কলকাতায় প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটা তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁর যুক্তি আক্রান্ত তরুণ কলকাতায় ছিলেন না। তিনি লন্ডন থেকে ফিরেছিল। তাই তিনি কলকাতার আক্রান্তের তালিকায় পড়েন না। সংবাদ মাধ্যমকে আরও সচেতন হতে হবে। কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম গুজব ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ। বিভ্রান্তি ছড়ালে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিগত বছরগুলিতে ডেঙ্গি নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয় না রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে। সরকারি হাসপাতাল কোনাঘুসো শোনা যায়, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মৃত্যুর সংশাপত্রেও এমন লিখতে মানা করা হয়েছে। করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রেও কি তেমন কোনও পদক্ষেপ দেখা যাবে? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।