কড়েয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন তথাগত। এদিন বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে কড়েয়া থানার আহিরিপুকুর এলাকা, এই ঘটনার পরেই মমতার সরকারকে নিশানা করছে বিরোধীরা।
কড়েয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন তথাগত। উল্লেখ্য, এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে কড়েয়া থানার আহিরিপুকুর এলাকা। আহিরিপুকুর এলাকার একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনার পরেই মমতার সরকারকে নিশানা করছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন, Post poll violence: মগরাহাট BJP প্রার্থীর মৃত্যুতে তদন্তে নামল CBI
কড়েয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। ভবানীপুরের উপনির্বাচনের আগে এহেন ঘটনায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন বিরোধী দল। তথাগত রায় এই ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন। তিনি টুইটে জানিয়েছেন, ঘটনার স্থানটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এনআইএ-র উচিত দ্রুত তদন্ত শুরু করা। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে কড়েয়া থানার আহিরিপুকুর এলাকা। আহিরিপুকুর এলাকার একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। জানা গিয়েছে, পাঁচ তলা ওই বাড়িটির এক তলায় থাকতেন আনন্দ দাস, তাঁর স্ত্রী কিরণ দাস, তাঁর ন'বছরের সন্তান এবং ১৬ বছরের ভাইজি। ভোরে বিকট শব্দ পেয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয়রা। দেখতে পান ৮/৩ আহিরিপুকুর ফার্স্ট লেন ঠিকানার বাড়ির দেওয়ার ভেঙে পড়েছে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় একজন মাটিতে পড়ে রয়েছেন। বাড়ির একাংশের দেওয়াল ভেঙে তার নিচে চারজন চাপা পড়ে রয়েছেন। পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কড়েয়া থানার পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন, 'অধ্যক্ষ সময় দিলেই BJP-র সাংসদ পদে ইস্তফা', দিলীপের 'ইংরেজি জ্ঞান'কে কটাক্ষ বাবুলের
কড়েয়া থানার পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে লালবাজারের বিশেষ টিম পৌঁছেছে। পৌছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। ঘটনাস্থলে রয়েছে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ।খবর দেওয়া হয়েছে ফরেনসিক বিভাগে। সূত্রের খবর, ঘরের ভিতরে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার এবং বিদ্যুৎ যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিকভাবে তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, বিস্ফোরণের ফলেই দেওয়াল ভেঙেছে। তবে প্রথমে মনে করা হয়েছিল বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু, তদন্তের পর দেখা যায় অক্ষত অবস্থাতেই রয়েছে সিলিন্ডার।তবে কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার জন্য শুরু হয়েছে তদন্ত। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে ফরেনসিক দল। এই ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্কে স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা