শহরের বুকে অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে পুলিশের জালে দুই কিশোর। একবালপুর এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ।
শহরের বুকে অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে পুলিশের ( Kolkata Police) জালে দুই কিশোর। একবালপুর (Ekbalpure)এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেফতার (Two Arms smuggler Arrested) করেছে পুলিশ। ধৃত শেখ সাদ্দাম হোসেনের থেকে কাছ থেছে ১ টি ওয়ান শাটার এবং ২ রাউন্ট কার্তুজ মিলেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত শেখ সাদ্দাম হোসেনকে জেরা করে জানা গিয়েছে, কলকাতায় অস্ত্র বিক্রি করার জন্য় তাঁরা সেগুলি নিয়ে যাচ্ছিল। তাঁকে জেরা করতেই তার আরও এক সঙ্গী বাবলু আরিকেও পাকড়াও করেছে পুলিশ। এদিকে চলতি সপ্তাহে কলকাতা বন্দর এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারকাণ্ডে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। নান্টি ওরফে বাবুল ঘোষ এবং বিলাল ওরফে শেখ আবুল হোসেন নামে ওই দুই দুষ্কৃতিকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। নান্টির বাড়ি নরেন্দ্রপুরে এবং বিলালের বাড়ি হাওড়ায়। পাশাপাশি সম্প্রতি হুগলির ডানকুনি টোল প্লাজার কাছে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ধানবাদ থেকে কলকাতাগামী বাসে তাঁরা উঠেছিলেন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে। সঙ্গে রাখা ব্যাগে ছিল ৪০ টির মতো আগ্নেয়াস্ত্র ও যন্ত্র। ডানকুনি টোল প্লাজার কাছেই সব পর্দা ফাঁস। সব অস্ত্র উদ্ধার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। গ্রেফতার করা হয় ওই ছদ্মবেশি ভুয়ো দম্পতি মহম্মদ সাগির, হাসিনা বেগম এবং তাঁধের সঙ্গী ইমতিয়াজ আহমেদকে।
প্রসঙ্গত, বিহারের মুঙ্গের থেকে চোরাই পথে আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ কলকাতা সহ রাজ্য়ে পাচার হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। আগে অস্ত্র পাচারকারীরা ছোট গাড়িতে সবজি লুকিয়ে অস্ত্র পাচার করত। তবে এখন সেই ভাবে আৎ পাচার করা হয় না। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে বাইক, যাত্রীবাহী বাসেও অস্ত্র পাচার করা হয়। একুশের নির্বাচনের সময়েও ভোটচলাকালীন প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। সামশেরগঞ্জ থানার ডাকবাংলো পাকুর সড়কে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম।চলতি বছরের জুন মাসে, আরও অভিনবত্ব অপরাধে। নেওয়া হয় প্রকৃতির সুবিধা।কলাগাছের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র লুকিয়ে পাচারের ছক কষে দুষ্কৃতিরা। জানা গিয়েছে, রীতিমতো অভিজ্ঞ লোকদের দিয়ে কলাগাছের মধ্যে নানান আকারের প্রকোষ্ঠ বানানো হয়। তারপর তার মধ্যেই লুকিয়ে রাখা হয় অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও উন্নত মানের হেরোইন। জওয়ানদের চোখ এড়িয়ে তা অন্যত্র পাচার করার জন্যই ওইভাবে তা রেখে দেওয়া হচ্ছিল। যদিও পাচারের আগেই গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে সেই ছক ভেঙে দেন মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া এলাকার ১৪১ নম্বরের ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা। কলাগাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে