করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় হেল্প লাইন চালু করল রাজ্য় সরকার। রাজ্য় সরকারের অফিসিয়াল টুইটার অ্য়াকাউন্ট থেকে একটু তা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, 'করোনা কল সেন্টার' গঠন করা হয়েছে শাশ্বত ভবনে। হেল্প লাইন নাম্বারে ফোন করলেই মিলবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সাহায্য়ের জন্য় যাবতীয় আপডেট।
আরও পড়ুন, জাতীয় সঙ্গীতের তত্ত্ব ওড়াল প্যান্টালুনস, সাসপেন্ডের পেছনে শৃঙ্খলাভঙ্গ, দাবি কর্তৃপক্ষের
'করোনা হেল্প লাইন' এর মোট দুটি নাম্বার ঘোষনা করেছে রাজ্য় সরকার। প্রথম হেল্প লাইন নাম্বারটি হল (০৩৩) ২৩৪১ এবং দ্বিতীয়টি ১৮০০ ৩১৩৪ ৪৪২২২। রাজ্য় সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, যদি কারোও সর্দি-কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফোন করে তাহলে তাকে বিস্তারিত তথ্য় দিয়ে সাহায্য় করা হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য় বিধি নিয়ে সতর্কতা এবং নির্দিষ্ট কোন হাসপাতালে সেই ব্য়াক্তি যেতে পারেন তাও জানিয়ে দেওয়া হবে ওই 'করোনা হেল্প লাইন' নাম্বার থেকেই।
আরও পড়ুন, প্রথা মেনেই ছবির প্রচার, বাণীবন্দনায় মাতলেন ঋতুপর্ণা
বেলেঘাটা আইডিতে, ১৬ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। নেপালে করোনায় আক্রান্তের হদিশ মেলায় বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য। নেপাল সীমান্তে, মিরিকের সিমানে, পানিট্যাঙ্কি, পশুপতিনগরে স্বাস্থ্য দফতরের চেকপোস্ট। করোনা ভাইরাস নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ সাতটি রাজ্যে বিশেষ নজরদারি শরু হয়েছে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে প্রজাতন্ত্র দিবসে কলকাতায় এসেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দল। নেপালে করোনা আক্রান্তের খবর আসতেই রীতিমত সতর্ক রাজ্য প্রশাসনও। যার দরুণ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নেপাল সীমান্তে বিশেষ চেকপোস্ট খোলা হয়েছে । বিমানবন্দরের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী হাসপাতালের পরিকাঠামোও খতিয়ে দেখছে বিশেষজ্ঞ দল।
করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়েছে কীভাবে বোঝা যাবে, সে বিষয়েও আগাম জেনে রাখুন। করোনা ভাইরাস প্রাথমিক ভাবে সর্দি-কাশি থেকে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
সর্দি-কাশির সঙ্গে থাকে প্রবল জ্বর এবং শ্বাস কষ্ট। আর এই জ্বর-শ্বাসকষ্টই একসময় বাড়তে বাড়তে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।করোনা ভাইরাস নাক, সাইনাস অথবা গলার উপরিভাগে সংক্রমণ ঘটায়। ভাইরাসটির লক্ষ্য মূলত ফুসফুস।