দেখবেন খেলোয়াড়রা অনেকসময়ে খেলার আগে একটা গোটা কলা খেয়ে নেন। কোনও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হলে দেখবেন, টিফিনে কলা মাস্ট। ডায়াটেশিয়ানরা সকালে উঠে ব্রেকফাস্টে বা তার আগে পরে কলা খেতে বলেন। কেন জানেন? কলা অফুরন্ত এনার্জির ভাণ্ডার। শুধু তাই নয়, কলা ইনস্টান্ট এনার্জি জোগায়। তাই খেলাধুলো থেকে দিনের শুরুতে ব্রেকফাস্টে কলার এত কদর।
পাকা কলার সত্য়ি অনেক গুণ। যা কার্যত বলে শেষ করা যায় না। শুধুই কোষ্ঠকাঠিন্য়ের মোকাবিলা করা নয়, আরও অনেক গুণ রয়েছে কলার। রক্তচাপ কমাতে সাহায্য় করে কলা। কারণ পাকা কলায় থাকে পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম রক্তচাপ কমায়। পাকা কলায় প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে, যা ধমনী থেকে বাড়তি কোলেস্টরলকে বের করে দেয়। এর ফলে হার্টের ওপর চাপ কম পড়ে ও হার্ট সুস্থ থাকে।
পাকাকলা কোষ্ঠকাঠিন্য় কমিয়ে হজম শক্তি ঠিকঠাক রাখে। যার ফলে কোলন ক্য়ানসারের ঝুঁকি কমে। ছোটরা নিয়মিত কলা খেলে হাঁফানির হাত থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পায়। কলায় বিপুল পরিমাণে আয়রন থাকে। যা অ্য়ানিমিয়া প্রতিরোধে কাজ দেয়। এছাড়া পাকাকলায় থাকে কপার। যা লোহিত কণিকা তৈরিতে সাহায্য় করে। কলা ওজন কমাতেও সাহায্য় করে। পাকাকলায় থাকে বিপুল পরিমাণ ফাইবার। যা পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সাহায্য় করে। তাছাড়া পাকা কলা খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরতি থাকে। ফলে ঘনঘন খেতে হয় না। যার ফলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে পরোক্ষে। পাকাকলায় ফ্রুকটুলিগোসাচারাইড নামে এক ধরনের ব্য়াকটেরিয়া থাকে। যা খাবার থেকে মিনারেলস ও অন্য়ান্য় নিউট্রিয়েন্টসকে শরীরে শোষণ করতে সাহায্য় করে।
পাকাকলায় থাকে পটাশিয়াম। যা কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য় করে। দেখা গিয়েছে, ১৩ বছর ধরে সপ্তাহে দুই থেকে তিনটি কলা খেলে মহিলাদের মধ্য়ে কিডনির রোগের ঝুঁকি ৩৩ শতাংশ কমে যায়। আর সপ্তাহে চার থেকে ছয়বার কলা খেলে কিডনি রোগের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমে।
পাকাকলা অ্য়াসিডিটি কমিয়ে আলসার প্রতিরোধ করে। কলায় থাকে অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট ও ক্য়ারোটিনয়েডস। দৃষ্টিশক্তির জন্য়ও খুব উপকারী পাকাকলা। এতে থাকে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল।