আজ রূপচর্চা মানে শুধু মুখের যত্ন নয়। মুখের সঙ্গে হাত-পা ও শরীরের অন্যান্য গোপানাঙ্গেরও যত্ন নেওয়া দরকার। বর্তমানে প্রসার বাড়ছে ভ্যাজাইনাল ব্লিচিং-এর। ভ্যাজাইনাল ব্লিচিং করার আগে সতর্ক হন, জেনে নিন ভ্যাজাইনাল ব্লিচিং কতটা নিরাপদ
সৌন্দর্যের শর্ত বলতে বোঝায় নিখুঁজ আর উজ্জ্বল ত্বক (Glowing Skin)। এই দুই পেলে চলে জোড় কসরত। ঘরোয়া টোটকা কিংবা বিউটি প্রোডাক্ট (Beauty Products) ব্যবহারে ছাড়াও নিয়মিত পার্লার ভ্রমণ তো আছেই। কিছু না হলে ফেসিয়াল কিংবা ব্লিচ তো প্রায়ই করা হয়। ত্বক উজ্জ্বল করতে ব্লিচের (Bleaching ) ভূমিকা বিস্তর। মুখের সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে অনেকেরই সমস্যা মুখের অবাঞ্ছিত লোম। মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম ঢেকে ফেলার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ব্লিচ করা। আর বর্তমানে ব্লিচের গুরুত্ব এতটাই বেড়েছে যে লোকে বডি ব্লিচিং-এ আগ্রহ দেখাচ্ছে। আজ রূপচর্চা মানে শুধু মুখের যত্ন নয়। মুখের সঙ্গে হাত-পা ও শরীরের অন্যান্য গোপানাঙ্গেরও যত্ন নেওয়া দরকার। এরজন্য বহু বছর আগে থেকেই আন্ডার আর্ম ওয়্যাক্স কিংবা আন্ডার আর্ম ব্লিচিং-এর প্রবণতা বেড়েছে। আর ব্লিচ করা হচ্ছে ভ্যাজাইনার চারপাশে। অবাক লাগলেও এমনই সত্যি।
বিকিনি ওয়্যাক্স (Bikini Wax) করতে আজকাল বহু রমণী ভয় পান। সেখানে প্রসার বাড়ছে ভ্যাজাইনাল ব্লিচিং-এর। এখন প্রশ্ন হল ভ্যাজাইনাল ব্লিচিং কী? এটি যোনির চারপাশের ত্বককে কালো ছোপ হালকা করার প্রক্রিয়া। এটি টপিকাল ক্রিম, কেমিক্যাল পিল দ্বারা এটা করা যেতে পারে। গত বছর থেকে ভ্যাজাইনাল ব্লিচ করার প্রবণতা বেশি দেখা দিচ্ছে। আমেরিকার শিল্পী কার্ডি বি বডি ব্লিচ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন একবার। তখন থেকে এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। বিদেশে এর চল থাকলেও এদেশে তেমন চল ছিল না। কিন্তু, বর্তমানে বহু রমণীরাই ভ্যাজাইনাল ব্লিচিং-এর আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
কিন্তু, এই বিষয় বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মতে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল এতে কি স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে? এই বিষয়ে এক্সপার্টরা মনে করেন যে যোনি ব্লিচ করা এতটাও সহজ নয়। ভ্যাজাইনার আশেপাশের এলাকাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই ডার্মা ক্লিনিক বা উচ্চমানের পার্লার ছাড়া এটা করানো নিরাপদ নয়। না হলে বিপদ হতে পারে। এদিকে, চিকিৎসকরা এই বিষয় সকলকেই সতর্ক করেন। তাঁদের মতে, ব্লিচ থেকে যোনিতে জ্বালা হতে পারে। হতে পারে অ্যালার্জি। দেখা দিতে পারে অন্য কোনও চর্চরোগ। তাই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ভ্যাজাইনাল ব্লিচিং করবেন ভাবলে একটু সতর্ক হন। সব দিক ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। আর ভুলেও অনলাইনে প্রোডাক্ট কিনে ব্যবহার করবেন না। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে ভ্যাজাইনাল ব্লিচিং (Vaginal Bleaching) করা উচিত।