গরমে আমের শরবত নিঃসন্দেহে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে, তাই বলে আমের উপকারিতা এখানেই সীমিত নয়। কাঁচা আম বাজারে আসা মাত্রই তা দিয়ে আঁচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদ রান্নায় ব্যাস্ত হয়ে পরেন গৃহিনীরা। কিন্তু অজান্তেই যে শরীর কত রকমভাবে উপকৃত হচ্ছে তাতে তা হয়তো অনেকেরই জানানেই।
চোখভালোরাখতেসাহায্যকরে কাঁচা আম। কাঁচা আমে থাকে আলফা ক্যারোটিন এবং বিটা ক্যারোটিন। যা দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ঘামাচি কমাতে কাঁচা আমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কাঁচা আম খেলে ঘামাচি কমে এবং শরীর অনেক বেশি সতেজ থাকে। গরমে ঘামাচির জ্বালা থেকে বাঁচতে রোজ কাঁচা আম খাওয়া ভালো।
লিভারের কোনো সমস্যা থাকলে কাঁচা আম তার মোক্ষম দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। পিত্ত রস ক্ষরণে সাহায্য করে।
মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে। মুখের দুর্গন্ধ কাটায় এবং দাঁতের গোড়া শক্ত করে, তাই নিয়ম করে প্রতিদিন কাঁচা আম খাওয়া উচিৎ।
ওজন কমাতে কাঁচা আম প্রতিদিন খাওয়া উচিৎ। এতে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। চিনির পরিমাণ কম থাকে এই ফলে।
হজম শক্তি বাড়ায় আম। কাঁচা আম খেলে পেটের সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।
শরীরকে সুস্থ রাখতেও কাঁচা আমের ভূমিকা অনেক। ঘাম কমায়, ক্লান্তি কমায় এমন কী জলের পিপাসাও মেটায়।
তাই গরমের দিনে কাঁচা আম প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখা উচিৎ। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর কাঁচা আম আর বাজারে পাওয়া যাবে না। তাই সময় থাকতেই এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে বদলে ফেলুন খাদ্য তালিকা।