সুগার হলে খাওয়াদাওয়া নিয়ে সত্য়ি বড় ঝক্কি বাড়ে। এটা খাওয়া যাবে না, সেটা খাওয়া যাবে না। নানারকম বিধিনিষেধ। চোখ রাঙানি। তা-ও আবার এত কাণ্ড করেও রাশ টানা যায় না সুগারে। তাই হতাশা বাড়তে থাকে। অথচ, বাস্তবে কিন্তু ডায়াবেটিকদের খাওয়াদাওয়া এত কঠিন কিছু নয়। শুধু মাথায় রাখতে হবে কয়েকটা জিনিস।
অনেকেরই ধারণা, মিষ্টি খাব না, মাটির তলার জিনিস খাব না, ব্য়স, তাহলেই হবে। যদিও ব্য়াপারটা কিন্তু তা নয়। মাথায় রাখতে হবে, সারা দিনে কী খাচ্ছেন আর কতটা খাচ্ছেন। অনেকেই ভাবেন, সুগার বাড়লে খাওয়া কমিয়ে দেব, সকালবেলায় একটু তেঁতো খেয়ে নেব, ব্য়স, তাহলেই হয়ে যাবে। কিন্তু এতে করে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। সুগার হলে আসলে খাওয়ার অভ্য়েসটা একটু বদলাতে হয়। যেমন, সারাদিনে ছ-বার খাওয়ার অভ্য়েস করুন। তিনবার একটু ভারি আর বাকি তিনবার একটু হাল্কা। খেয়াল রাখবেন, একটি খাওয়ার সঙ্গে পরের খাওয়ার মধ্য়ে যেন দুই থেকে তিনঘণ্টার বেশি ব্য়বধান না-থাকে। আপনার রান্না হবে কিন্তু খুব কম তেল দিয়ে। যে খাবার মুখে রোচে না, সেই খাবারই খেতে হবে। কিছু করার নেই। যে তেলেই খান না কেন, দিনে ১০ মিলিলিটারের বেশি তেল খাবেন না রান্নায়। যাতে করে মাসে তা ৩০০ মিলির বেশি না হয়।
খিদে পেলে খান। কেউ আপত্তি করছে না। কিন্তু ভাত-রুটি নয়। ভাত-রুটি খেতে পারেন, তবে তা হিসেব করে। এখন কথা হল, ওই পরিমাণ ভাত বা রুটিতে তো আপনার পেট ভরবে না। তাই চেষ্টা করুন, ডাল, সবজি, দুধ, দই, ছানা দিয়ে পেট ভরাতে। ফল খান নিয়ম করে। স্য়ালাড খান। দেখবেন পেট ভরে যাবে। চাল-গম থেকে যেসব খাবার তৈরি হচ্ছে, যেমন ভাত, রুটি, মুড়ি, চিঁড়ে এমনকি হরলিকস, এসব বাদ দিন।
মনে রাখবেন, কেউ কিন্তু ভাত খেতে বারণ করছে না। তবে তা খান ওজন মতো। ডাক্তাররে পরামর্শ অনুযায়ী। এইগুলো মাথায় রাখুন। দিনের মধ্য়ে যখন পারবেন, একঘণ্টা হাঁটুন। না-পারলে আধঘণ্টা হাঁটুন। হাঁটার কোনও বিকল্প নেই, অন্তত সুগার নিয়ন্ত্রণে। আর দেখবেন, যা-ই ঘটুক না কেন, স্ট্রেস যেন না-বাড়ে। প্রয়োজনে মনোবিদের কাছে যান। দেখবেন, আপনি ভাল আছেন।