হঠাৎ একদিন তাঁর ইচ্ছে হয় ওই পাওডার চেখে দেখার। চেখে দেখে পাওডারের স্বাদটি তাঁর ভালো লাগে এবং তারপর থেকে তিনি নিয়মিত খেতে শুরু করেন। খেতে খেতে অবস্থা এমনই পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, বর্তমানে তিনি প্রত্যেকদিন গোটা একটা বোতলের পাওডার খেয়ে শেষ করে ফেলেন।
পৃথিবীতে মানুষের মতো সর্বভুক প্রাণী বোধহয় খুব কমই আছে। মানুষ প্রাণীজগতের সবচেয়ে বুদ্ধিমান এবং শ্রেষ্ঠতম জীব হওয়ার দাবিদার হয়েও কাণ্ডজ্ঞানহীনতার যে পরিচয় দিয়ে থাকে, তা বোধহয় সারা বিশ্বের আর কোনও প্রাণী দিতে পারে না। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে বাছবিচার না-ই থাকতে পারে। যা পাই, তাইই খাই, এটাই পেট চালানোর মূল ব্যাকরণ। কিন্তু, যদি খাওয়ার জিনিসটি সত্যিই খাওয়ার যোগ্য না হয়ে থাকে? আমেরিকার ২৭ বছর বয়সি তরুণী, ড্রেকা মার্টিন, তিনি খেয়ে ফেলছেন একটা গোটা বোতল-ভর্তি বেবি পাওডার, তাও আবার প্রত্যেক দিন। কেন খাচ্ছেন? তিনি নাকি কিছুতেই নিজের পাওডার খাওয়ার খিদেটি চেপে রাখতে পারছেন না। সম্প্রতি এমনই অদ্ভুত দাবি করলেন এই তরুণী।
পেশায় মেক-আপ শিল্পী ড্রেকা মার্টিনের তিন বছর বয়সি পুত্র-সন্তানের নাম ফয়েজ পামার। ফয়েজকে প্রত্যেকদিন মাখানোর জন্য বেবি পাওডার ব্যবহার করতেন এই তরুণী। হঠাৎ একদিন তাঁর ইচ্ছে হয় ওই পাওডার চেখে দেখার। চেখে দেখে পাওডারের স্বাদটি তাঁর ভালো লাগে এবং তারপর থেকে তিনি নিয়মিত খেতে শুরু করেন। খেতে খেতে অবস্থা এমনই পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, বর্তমানে তিনি প্রত্যেকদিন গোটা একটা বোতলের পাওডার খেয়ে শেষ করে ফেলেন। তাঁর মতে, মুখে দিলেই মিলিয়ে যায় পাউডার, এই বিষয়টা তার দারুণ লাগে। এর জন্য দৈনিক তাঁর খরচ হয় ১৪ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ১৬৮ টাকা। অর্থাৎ, বছরে তাঁর খরচ প্রায় ৩ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
-
ড্রেকা মার্টিন দাবি করেছেন যে তিনি ‘পিকা’ রোগে ভুগছেন। এটি একটি খাওয়ার ব্যধি। যে জিনিসগুলো খাবার যোগ্য নয়, সেগুলো খেতে ইচ্ছে করে। অনেকে এই অসুখের জেরে চক, রং, মাটি, লোহার জিনিসপত্রও খাওয়া অভ্যাস তৈরি করে ফেলেন। ড্রেকা জানিয়েছেন, “আমি বেবি পাউডার খেতে ভালোবাসি। এটার গন্ধ যেমন, স্বাদও ঠিক তেমনই।. এটা আমাকে ভালো বোধ করায় এবং আমাকে খুশি রাখে।" সেজন্য, বেবি পাওডার প্রস্তুতকারক সংস্থা জনসন এন্ড জনসনের তরফে সতর্ক করা সত্ত্বেও ড্রেকা প্রত্যেকদিন এক বোতল করে বেবি পাওডার খেয়ে ফেলছেন এবং তাঁর শরীরে কোনও অসুবিধাই হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।