গোটা ভারতে সবথেকে জনপ্রিয় পনিরগুলির একটি তালিকা রইল এখানে। আপনি নান জায়গায় বেড়াতে গেলে এই পনিরগুলি অবশ্যই চেখে দেখতে পারেন।
গবেষণায় জানা গিয়েছে পনিরের ওপর যে কোনও মানুষের আশক্তি বাড়তে পারে। বিদেশে চিজ যতটা জনপ্রিয় ভারতে ঠিক ততটাই জনপ্রিয় পনির। গোটা ভারতে নানা ধরনের পনির পাওয়া যায়। আর সেই ক্ষেত্রে গোটা ভারতে সবথেকে জনপ্রিয় পনিরগুলির একটি তালিকা রইল এখানে। আপনি নান জায়গায় বেড়াতে গেলে এই পনিরগুলি অবশ্যই চেখে দেখতে পারেন। চাইলে এই পনিরগুলি কিনেও আনতে পারে। কারণ পনির সাধারণ আবহাওয়ায় বেশ কিছু দিন টাটকা থাকে- বিশেষ করে শীতকালে।
জনপ্রিয় চিজ বা পনিরের তালিকা রইল-
ব্যান্ডেল চিজ
শেফ রণবীর ব্রার ও অনেকেই ব্যান্ডেল চিজের একটি জিআই ট্যাগ দাবি করে। সম্প্রতি এই চিজগুলি স্পটলাইটে এসেছে। পনিরের নামকরণ করা হয় এই রাজ্যেরই ব্যান্ডেল শহরের নামানুসারে। একটা সময় এই এলাকা পর্তুগিজদের দখলে ছিল। কলকাতাতেও পাওয়া যায় ব্যান্ডেল চিজ। এটি ছোট ছোট বলের আকারে হয়। একটু শুষ্ক আর ধোঁয়াটে গন্ধের। এগুলিকে গোটা রাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন অনেকেই সালাদে মিশিয়ে খান। ক্র্যাকারেও ছিটিয়ে দেওয়া হয়। কলকাতার অনেক রেস্তোঁরায় এগুলি পাওয়া যায়।
কালিম্পং চিজ
এটি মিষ্টি , কিন্তু মশলাদার । পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং এর পাহাড়ে এটি তৈরি হয়। সিকিমের একজন প্যারিশ পুরোহিত প্রথম এই চিজ তৈরি করেছিলেন। এখন এটির দখল নিয়েছে আমুল। কলকাতার নিউমার্কেটে ১২ কেজি ও ১ কেজির ছোট কালিম্পং চিজেরপ্যাকেট বিক্রি হয়।
ছুরপি
এটি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পনিরের তালিকায় পড়ে। হিমালয়ের বেশ কিছু এলাকায় এটি পাওয়া যায়। মূলত গরুর দুধ থেকে তৈরি হয়। সিকিমের গ্যাংটকের বাজারে তাজা ও শুকনো ছুরপি পনির পাওয়া যায়।
কালারি
কালারি বা ম্যাশ ক্রেজ হল একটি স্থানীয় পনির যাকে প্রায়ই কাশ্মীরের মোজারেলা বলা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের যাযাবর গুজ্জর উপজাতি মানুষ এটি চাষ করে। কালারি মূলত পনিরের। ঘন গোলাকার ডিস্কের মত দেখতে হয়। স্থানীয়ভাবে এটি দুধ চাপাটি নামে পরিচিত। ডিপফ্রাই করে এটি লবণ ও মরিচ দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এই সম্পূর্ণ ভেগান পনিরটি কাশ্মীরে ক্রিস জান্ডি তার কারিগর পনির ব্র্যান্ড হিমালয়ান চিজের মাধ্যমে ডাচ এবং স্থানীয় ঐতিহ্যের ন্যায্য বাণিজ্য মূল্য দিয়ে তৈরি করছেন। অনলাইনে এটি অর্ডার করা যায়।
ভালমব্রোসা
এই পনিরটি বেঙ্গালুরুর ভালমব্রোসান বেনেডিক্টাইন মণ্ডলীর সন্ন্যাসীরা তৈরি করেছেন। কেআর পুরম এলাকায় এটি তৈরি করা হয়। চার্চ-চালিত স্টোরে পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে এটি ইতালিয়ান পনির নামে পরিচিত। অনেকে এটিকে বেঙ্গালুরুর মোজারেলা চিজ বলেন। বুরাটা , মাস্কারপোন ও পেকোরিয়ানে নামে বিক্রি করা হয়। এই পনির ইউনিটটি শুরু করেছিলেন ফাদার কেএল মাইকেল , নামে একজন পুরোহিত এটি তৈরি করেন। ইতিলিতে পড়াশুনা করার সময়ই তিনি এই চিজ তৈরির পদ্ধতি শিখেছিলেন। তারপর তা বেঙ্গালুরুতে চালু করেন।