গবেষণায় উঠে এসেছে শিশুরা প্রতিদিন ঘি খেতে পারে। কারণ ঘি খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এমতাবস্থায় প্রশ্ন জাগে মাখন কি ঘি থেকে ভালো?
ডায়েট করার সময় অনেকেই ঘি-খাওয়া এড়িয়ে চলে। কারণ তারা মনে করে ঘি খেলে মোটা হয়ে যাবে। কিন্তু গত কয়েক বছরে ডায়েটিশিয়ানরা আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে ঘি সম্পর্কে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন। যার কারণে আজকের তরুণরাও ঘি পছন্দ করে। কিন্তু আজ এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আমরা আপনাদের বলব ঘি ও মাখনের মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর?
ঘি খেলে কি সত্যিই হাড় মজবুত হয়?
ঘি সবসময় ভারতীয় রান্নাঘরের একটি অংশ। বাড়ির বড়রা সব সময় বলেন, বাচ্চাদের ঘি খাওয়াতে হবে যাতে তাদের হাড় মজবুত হয়। ঘি একটি সুপারফুডের মতো যা আপনার পেটকে সুস্থ রাখে। একই সঙ্গে এটি ভালো চর্বির ভালো উৎস। ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে শিশুরা প্রতিদিন ঘি খেতে পারে। কারণ ঘি খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এমতাবস্থায় প্রশ্ন জাগে মাখন কি ঘি থেকে ভালো?
শুধুমাত্র সাদা মাখন এবং লবণ ছাড়া মাখন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো-
মাখনের নাম এলেই মনে আসলেই সবার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। কারণ প্রায় সবাই ছোটবেলায় মাখন খাওয়ার জন্য বায়না করতো। কিন্তু মাখনের মধ্যেও লবণবিহীন সাদা মাখন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আমরা সাদা মাখনের কথা বলছি যা বাড়িতে তৈরি করা হয়। আপনি বাটারমিল্ক বা অন্য কোনও আকারে মাখনের জল ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে যে মাখন পাওয়া যায় তা সম্পূর্ণভাবে প্রক্রিয়াজাত করে তাতে লবণ মেশানো হয়। যাতে এটি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে।
ঘি বনাম মাখন: কোনটি স্বাস্থ্যকর?
ঘি ও মাখন পুষ্টিগুণে ভরপুর। ঘি স্বাস্থ্যকর চর্বি। এতে ভিটামিন এ-এর সঙ্গে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে। ফোর্টিফাইড মাখন ভিটামিন এ থাকতে পারে।
ঘি এবং মাখনে ক্যালোরি:
মাখন প্রতি ১০০ গ্রাম ৭১৭ কিলোক্যালরি সরবরাহ করে ৭১ শতাংশ স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ৩ গ্রাম অস্বাস্থ্যকর চর্বি। ১০০ গ্রাম ঘি ৬০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর চর্বি সহ ৯০০ কিলোক্যালরি সরবরাহ করে এবং কোনও অস্বাস্থ্যকর চর্বি নেই। দোকান থেকে ঘি কেনার সময় লেবেলটি সঠিকভাবে পড়ে নিশ্চিত করুন। যদি এটি 'উদ্ভিজ্জ ঘি' বলে তাহলে সম্ভাবনা রয়েছে যে এটি সাধারন ঘি নয় এবং এতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকতে পারে।
ঘি এবং মাখনের স্বাদ এবং ব্যবহার দুটোই ঘি এবং মাখনের আলাদা স্বাদ রয়েছে এবং তাই এটি আশ্চর্যের কিছু নয় যে তারা আলাদা ভাবে ব্যবহার করা হয়। ভারতে, সব ধরনের তরকারি, ডাল এবং মাংস রান্না করতে ঘি ব্যবহার করা হয়। আবার পরোটা ভাজতে বা সুজি বা গাজরের হালুয়া তৈরির জন্য রান্নার মাধ্যম হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। এর কারণ হল উচ্চ তাপমাত্রায়ও ঘি দিয়ে রান্না করা যায়। শাকসবজি ভাজতে এবং বিশেষ করে মাছ, চিংড়ি এবং কাঁকড়ার মতো রান্না করা মাংসের জন্যও মাখন একটি দুর্দান্ত পছন্দ। এটি মাংসে একটি সুন্দর গন্ধ যোগ করে এবং রসুন ও ভেষজগুলির সঙ্গে মিশে এক দারুন অ্যারোমা তৈরি করে।