জলখাবারে একটানা কর্ণফ্লেক্স খাচ্ছেন! তাহলে সাবধান, আক্রান্ত হতে পারেন মারণ রোগ ক্যান্সারে

জানেন কি এই কর্নফ্লেক্স কিন্তু আল্ট্রা প্রসেসড হওয়া একটি খাবার যা অনেক ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এটি দাবি করা হয় যে ভুট্টা থেকে কর্নফ্লেক্স তৈরি করা হয় এবং এতে অনেক ধরনের পুষ্টি যোগ করা হয়।

 

deblina dey | Published : Nov 26, 2023 5:06 AM IST

Side Effects of Cornflakes: আজকাল আমরা অনেকেই খিদে পেলে চট করে কর্ন ফ্লেক্স খাই। শুধু কর্মজীবী ​​মানুষই নয়, এমনকি ছোটদেরও সকাল-সন্ধ্যার জলখাবারে আমরা কর্নফ্লেক্স দেই। তবে জানেন কি এই কর্নফ্লেক্স কিন্তু আল্ট্রা প্রসেসড হওয়া একটি খাবার যা অনেক ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এটি দাবি করা হয় যে ভুট্টা থেকে কর্নফ্লেক্স তৈরি করা হয় এবং এতে অনেক ধরনের পুষ্টি যোগ করা হয়।

কর্নফ্লেক্সকে সুস্বাদু করতে এতে যোগ করা হয় স্ট্রবেরি, মিশ্র ফল, বাদাম এবং জৈব মধু। শুধু এই জিনিসগুলো যোগ করলে খুব একটা ক্ষতি হবে না, কিন্তু এতে যোগ করা চিনি ও যোগ করা লবণ স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করে। এটি ব্লাড সুগার বাড়ায়। এমতাবস্থায় হার্টের জন্যও মারাত্মক বিপদ রয়েছে।

কর্নফ্লেক্স এত ক্ষতিকর কেন?

সুস্বাদু করতে কর্নফ্লেক্সে যে জিনিসগুলো যোগ করা হয়। এ ছাড়া এতে যুক্ত করা হয় উচ্চ ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত মাত্রায় ফ্রুক্টোজ খেলে বিপাকীয় অনিয়মের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মানে শরীরের মেটাবলিজম ব্যাহত হয়। অতএব, আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কর্নফ্লেক্স খান তবে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি জানা গুরুত্বপূর্ণ।

রক্তে শর্করার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও থাকে

বিখ্যাত হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথের ডঃ ফ্রাঙ্ক হু-এর মতে, কর্নফ্লেক্সে যোগ করা চিনি অর্থাৎ হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু এই চিনি দ্রুত হজম হয় না এবং রক্তে ভাসতে থাকে। এই কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। যেহেতু কর্নফ্লেক্সের উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক ৮২-এর বেশি, তাই এটি কোনও অবস্থাতেই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো অপশন নয়।

স্থূলতা, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি

কর্নফ্লেক্সে পুষ্টির গঠন নষ্ট হয়ে যায় এবং এতে থাকা ফাইবার অনেকটাই কমে যায়। তাই ক্ষুধা আরও বাড়ে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দিনে ৯ গ্রামের বেশি চিনি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এর বেশি খেলে উচ্চ রক্তচাপ, প্রদাহ, ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, ক্যান্সার ও স্থূলতার ঝুঁকি থাকে। এসব কারণে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি সবসময়ই থাকে।

Share this article
click me!