ষ্টি আলুর চাট সম্পূর্ণ অন্যরকম খেতে হয়। আর সেটি একটু ঝাল. একটি মিষ্টি আর একটু টকটক লাগে। সন্ধ্যেবেলাটা কিন্তু এই চাটের বাটি হাতে নিয়ে আপনি দারুন উপভোগ করতেই পারে।
সন্ধ্যাবেলা মানেই মনে হয় কিছু খাই। খাই খাই করে মন। তবে ভারে কিছু নয়। মুখোরোচো। কিন্তু মুখোরোচো খাবার মানেই চপ বা তেলেভাজা। তাতে আবার শরীর বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কিন্তু রনসা তৃপ্তি বাঙালির কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই জন্যই রইল একটি অন্যরকম চাটের রেসিপি। তা বল মিষ্টি আলুর চাট।
নাম শুনেই নাক কুঁচকাবেন না। কারণ মিষ্টি আলু উপকারী খাবারগুলির মধ্যে একটি। আর এটি সহজেই পাওয়া যায়। আমরা সচারচর শুক্তো বা চচ্চড়িতে মিষ্টি আলু ব্যবহার করি। কিন্তু মিষ্টি আলুর চাট সম্পূর্ণ অন্যরকম খেতে হয়। আর সেটি একটু ঝাল. একটি মিষ্টি আর একটু টকটক লাগে। সন্ধ্যেবেলাটা কিন্তু এই চাটের বাটি হাতে নিয়ে আপনি দারুন উপভোগ করতেই পারে।
উপাদান-
মিষ্টি আলু (প্রয়োজন মত)
বেদানার দানা (দুটি আলুর জন্য একমুঠো)
জিরা গুঁড়ো
চাট মশলা
সি সল্ট
ধনেপাতার চাটনি (চাইলে বাদ দিয়ে টমেটোও দিতে পারেন)
তেঁতুল জল ( দুই চামচ)
আদা কুঁচি ( টেবিল স্পুনের অর্ধেক)
চিনা বাদাম ভাজা
তিল (এক টেবিল চামচ)
লেবুর রস ( এক চা চামচ)
ধনে পাতা
সাদা তেল ( এক চা চামচ)
তেরির প্রণালীঃ
প্রথমেই মিষ্টি আলুর খোসা ছাড়িয়ে গোল গোল পিস করে কেটে নিন। তারপর সেটি অল্প জলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। জল ঝরিয়ে অল্প তেলে ভালো করে ভেজে নিন। দেখবেন মিষ্টি আলুর গা যেন একটি একটু পুড়ে যায়। পুরোটা পুড়ে গেলে কিন্তু ভাল লাগবে না। তারপ আলু ঠান্ডা করে বাকি সব মশলা ছড়িয়ে দিয়ে ভেজে নিন। সবশেষে ধনেপাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। চাইলে একটু গোল মরিচ গুঁড়ো বা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিতে পারেন। তাহলেই শীতের সন্ধ্যে একবাটি চাট হাতে বসে পড়তেই পারেন।
এই চাট তৈরির উপকরণ প্রত্যেকটাই স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। তাই এই চাট যেমন রসনা তৃপ্তি করে তেমনই স্বাস্থেরও দিকেও নদর রাখে। তাই বাজারের খাবার না খেয়ে বাড়িতেই এই চাট তৈরি করে ছেলেমেয়েদে দিতে পারেন।