নিয়মিত হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করে বিপদ ডেকে আনছেন

আজকাল সবাই বাড়িতে বেসিনের পাসে লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ রাখেন। বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে হোক বা খাওয়ার আগে ও পরে, চটজলদি হাত পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু সেই হ্যান্ড ওয়াশ যদি ভাল মানের না হয়, তা হলে লাভের বদলে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। খোদ বিশেষজ্ঞরাই এমন জানাচ্ছেন।

swaralipi dasgupta | Published : Apr 26, 2019 8:27 PM IST

বাইরে থেকে এসেই প্রথমে হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিচ্ছেন ভাবছেন বিভিন্ন রোগ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে ফেলছেন কিন্তু সরশের মধ্যেই যে ভূত রয়েছেতা কি জানেনহাত পরিষ্কার হয়ে গেলেও, আদপে আপনি বিপদ ডেকে আনছেন।

আজকাল সবাই বাড়িতে বেসিনের পাসে লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ রাখেন। বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে হোক বা খাওয়ার আগে ও পরে, চটজলদি হাত পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু সেই হ্যান্ড ওয়াশ যদি ভাল মানের না হয়, তা হলে লাভের বদলে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। খোদ বিশেষজ্ঞরাই এমন জানাচ্ছেন।

যে সব হ্যান্ড ওয়াশের গায়ে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল লেখা থাকে, সেগুলিতে কী কী উপাদান রয়েছে, সব সময়ে তা দেখেই কেনা উচিত। এই উপাদানগুলির মধ্যে ট্রাইক্লোসান ও ট্রাইক্লোকার্বন থাকলে, তা খুবই ক্ষতিকারক হতে পারে। এই দুই উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে মস্তিষ্কের সমস্যা হতে পারে। প্রজনন ক্ষমতার উপরেও প্রভাব পড়ে। এই দুই রাসায়নিক অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করলেও, নিজেরাই মারাত্বক ক্ষতিকারক। বেশিরভাগ হ্যান্ড ওয়াশেই এই ধরনের রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এমনই জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ধরনের হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করলে শরীরে এমন কিছু জীবানু তৈরি হয়, যা আরও মারাত্বক। এই জীবানুকে ড্রাগ রেসিসটেন্ট জার্ম বলা হয়, যা শরীরের পক্ষে মারাত্বক ক্ষতিকারক। এর আগে ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগ্যানাইজেশন (হু)-ও সতর্ক করেছে হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করা কতটা বিপজ্জনক, তা নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন হাত পরিষ্কার করতে হলে হালকা কোনও হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করুন। অ্যালকোহল দিয়ে তৈরি সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। 

তবে শুধু হ্যান্ড ওয়াশ নয়। জীবানুর সঙ্গে লড়ার জন্য সাবান, টুথপেস্ট, ডিটারজেন্ট ও মাউথ ওয়াশেও এই ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। তাই এই জিনিসগুলি কেনার সময়েও উপাদান কী কী রয়েছে তা দেখে নেওয়া উচিত। কেনার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন জীবানুআশকের পরিমাণ যেন কখনওই ০.৩ শতাংশের বেশি না হয়।

 

Share this article
click me!