
আপনিও কি সকালে গোড়ালির ব্যথায় অস্থির? যদি এর উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে অবিলম্বে সাবধান হন। কারণ প্রায়ই মানুষ এই ব্যথা উপেক্ষা করে, যা বিপজ্জনক হতে পারে। গোড়ালি ব্যথা প্লান্টার ফ্যাসাইটিসের মতো সমস্যা হতে পারে। তবে , এটি একমাত্র কারণ নয়। তাই ব্যথাকে সহ্য ও উপেক্ষা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। জেনে নেই এই ব্যথার নিয়ন্ত্রনে আনার ঘরোয়া প্রতিকার।
কেন সকালে গোড়ালিতে ব্যাথা হয়?
যখন প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া লিগামেন্টে প্রদাহ হয় যা পায়ের আঙ্গুলগুলিকে গোড়ালির সঙ্গে সংযুক্ত করে, তখন এই ব্যথা শুরু হয়। এই কারণে পায়ে প্রচণ্ড ব্যথাও হয়। এই ব্যথার সময় গোড়ালির চারপাশে কাঁটার মতো ব্যথা হয়। যদি সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে পরবর্তীতে এটি মারাত্মক সমস্যায় পরিণত হতে পারে, যা আপনার জন্য ঝামেলার কারণ হতে পারে।
গোড়ালি ব্যথা কমানোর উপায়
যদি ডাক্তারের কাছে দেখা যায় যে ব্যথার কারণ প্লান্টার ফ্যাসাইটিসের মতো একটি রোগ, তবে এটির চিকিত্সা করা উচিত। এই ব্যথার কারণ যত তাড়াতাড়ি জানা যাবে, তত তাড়াতাড়ি এর চিকিৎসা শুরু করা যাবে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র চিকিৎসকের দেওয়া চিকিৎসা অনুসরণ করুন। একই সঙ্গে, এমন দুটি ব্যবস্থা রয়েছে, যা অবলম্বন করে আপনি এই ব্যথা কমাতে পারেন।
১) প্রথম এবং সর্বোত্তম সমাধান হল সর্বাধিক বিশ্রাম নেওয়া। অতিরিক্ত হাঁটার ফলে গোড়ালি ফুলে যেতে পারে, যা বিপজ্জনক। তাই ব্যথা না কমানো পর্যন্ত বিশ্রাম নিন। এটির উপর খুব বেশি ওজন রাখবেন না। কারণ হিলের ওপর বেশি ওজন সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন- কার্ডিওমায়োপ্যাথি একটি মারাত্মক হৃদরোগ, জেনে নিন এই রোগের কারণ ও এর চিকিৎসা
আরও পড়ুন- একজন মহিলার সন্তান জন্ম দেওয়ার সঠিক বয়স কোনটা, এতদিন এই বিষয়ে কত ভুল ধারণা ছিল
আরও পড়ুন- এই ৫ আয়ুর্বেদিক ভেষজ শরীরের রক্ষা কবজের মতো কাজ করে, আপনার থেকে দূরে রাখবে রোগ
২) দ্বিতীয় সমাধান হল বরফ দিয়ে শেক করা। এতে ব্যথা অনেকাংশে কমে যায়। যখনই আপনার গোড়ালি ব্যথা হবে, তখনই তাতে আইসিং করুন। এতে ব্যথা এবং ফোলা উভয় সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ব্যথা কমে গেলে আপনি আরাম বোধ করবেন।