গরমে কখনও শরীরে হবে না জলের অভাব, শিশুদের জন্য সবচেয়ে উপকারী এই ৫ পানীয়

Published : May 03, 2023, 05:02 PM IST
dehydration

সংক্ষিপ্ত

শিশুদের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। তাই, গ্রীষ্মে আপনার বাচ্চাদের হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর জল পান করাতে থাকুন এবং প্রচুর পরিমাণে ফল, জুস বা অন্যান্য তরল পান করতে থাকুন। 

গ্রীষ্মকালে শিশুরাও হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে। শরীরে জলের অভাব হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে জ্বর এবং পায়খানায় জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যাও শিশুদের বিরক্ত করতে পারে। তাই গরমে শিশুদের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। প্রখর রোদে ও গরমে শিশুরা ঘামে ভিজে। এমতাবস্থায় শিশুদের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। তাই, গ্রীষ্মে আপনার বাচ্চাদের হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর জল পান করাতে থাকুন এবং প্রচুর পরিমাণে ফল, জুস বা অন্যান্য তরল পান করতে থাকুন।

আসুন আমরা আপনাকে বলি যে শিশু যদি জলশূন্যতা অনুভব করে তবে তাকে সর্বাধিক পরিমাণে তরল দিন। এতে শিশু ভেতর থেকে হাইড্রেটেড বোধ করবে এবং শরীর সতেজতা ও শীতলতা পাবে। আপনি বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর পানীয় তৈরি করতে এবং দিতে পারেন। এতে শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতিও পূরণ হবে।

শিশুদের গরমে সুস্থ রাখতে এই পানীয়গুলি দিন

আম পান্না-

গ্রীষ্মকালে শিশুদের খাবারে আম পান্না দিতে হবে। আম পান্না পান করা আপনাকে সারাদিন এনার্জেটিক রাখে। এর ফলে শরীর কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, বি২ এবং ভিটামিন সি পায়, যা আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড ও সুস্থ রাখে। আম পান্না শিশুদের ত্বকের জন্যও উপকারী। এটি শিশুদের তাপ এবং সূর্য থেকে রক্ষা করে।

নারকেল জল-

আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন বাচ্চাদের নারকেল বা ডাবের জল দিতে হবে। এর মাধ্যমে শরীরে জলর অভাব সহজেই পূরণ করা যায়। নারকেল জল পান করলে শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। এছাড়া বাচ্চাদের সবজির রসও দিতে পারেন। এতে শিশুরা সুস্থ থাকবে এবং শরীরে জলর অভাবও পূরণ হবে।

ফলের রস-

গরমে শিশুদেরও ফলের রস দিন। বাচ্চাদের জলে তরমুজের রস দিতে পারেন। এর ফলে শরীরে জলর অভাব পূরণ হয় এবং শিশু হাইড্রেটেড থাকে। তরমুজের রস পান করতে খুবই সুস্বাদু। এ ছাড়া স্ট্রবেরি, আনারস বা অন্য কোনও ফলের জুস শিশুদের খাওয়াতে পারেন। পটাসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ফাইবার, নিয়াসিন, আয়রন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি এবং লাইকোপেন প্রচুর পরিমাণে ফলমূলে পাওয়া যায়। এই পুষ্টিগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।

লেমনেড-

গ্রীষ্মের জন্য লেবুপানের চেয়ে ভালো পানীয় আর নেই। এটি শরীরকে সতেজ করে এবং হাইড্রেটেডও থাকে। লেবু জল পান করলে ভিটামিন সি, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি-৬, ফোলেট এবং ভিটামিন-ই পাওয়া যায়। লেবু জল পান করলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকে। ত্বকে জ্বালাপোড়া ও পেট জ্বালাপোড়ার সমস্যাও লেবু জলে কম হয়। শিশুকে প্রতিদিন এক গ্লাস লেমনেড পান করুন।

বাটারমিল্ক-

গ্রীষ্মে নিজেকে সতেজ রাখতে অবশ্যই খাবারে বাটার মিল্ক রাখুন। এতে শরীরে শীতলতা আসে। বাটার মিল্ক খেলে শরীরে শক্তি আসবে। শিশুরা যদি রোদে খেলতে থাকে এবং তৃষ্ণার্ত হয় তবে আপনি বাটার মিল্ক খেতে পারেন। বাটার মিল্ক থেকে শরীর ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ১২, জিঙ্ক, রিবোফ্লাভিন এবং প্রোটিন পায়। এতে শিশুদের হাড় মজবুত হয় এবং শরীরে জলর অভাব পূরণ হয়।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ভুগছেন? নিয়মিত এই যোগাসনগুলো করলে মিলবে আরাম, জেনে নিন কী কী