জ্বরের পরে মুখে অরুচি-তেতো ভাব ? এই কয়েকটা খাবার ফেরাবে ক্ষিদে ও মুখের স্বাদ

Published : Jul 17, 2023, 10:46 PM ISTUpdated : Jul 17, 2023, 10:47 PM IST
fever

সংক্ষিপ্ত

বেশিরভাগ জ্বরের একটি জিনিস মিল রয়েছে যা একটি সাধারণ উপসর্গ। এই উপসর্গ হল জিভে তিক্ত স্বাদ। এই উপসর্গে কোনও খাবারই খেতে রোগীর ভালো লাগে না। সব খাবারেই সে তেতো ভাব টের পান।

যেকোনো মৌসুমে জ্বর দেখা দিলেও বর্ষায় জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়। জ্বরে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ঘরে ঘরে এখন রোগী। জ্বর , সর্দি, কাশি থেকে শুরু করে দেখা দিচ্ছে নানান জটিলতা। এই সময় সুস্থ থাকতে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। সতর্ক থাকা সত্ত্বেও জ্বরে ভুগছেন অনেকে। রইল এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়। জ্বর হলে হাই ডোজের ওষুধ না খেয়ে মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা।

বিভিন্ন ধরণের জ্বর আছে তবে বেশিরভাগ জ্বরের একটি জিনিস মিল রয়েছে যা একটি সাধারণ উপসর্গ। এই উপসর্গ হল জিভে তিক্ত স্বাদ। এই উপসর্গে কোনও খাবারই খেতে রোগীর ভালো লাগে না। সব খাবারেই সে তেতো ভাব টের পান। ফলে কোনও খাবারের আলাদা করে স্বাদ তার জিভে লাগে না। ফলে সে খেতেও চায় না। এই অবস্থায় আপনারও জ্বর হলে এবং জিভের স্বাদ তেতো হয়ে গেলে স্বাদ ফেরাতে কী করবেন তা জানাই।

মুখ থেকে তিক্ত স্বাদ অপসারণ কিভাবে?

টমেটো স্যুপ

আসুন জেনে নিই টমেটোর স্যুপ যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি ভিটামিন সমৃদ্ধ। এই স্যুপ পান করলে জিভের তিক্ততা কমতে শুরু করে। আপনি ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই কাপ স্যুপ পান করতে পারেন।

জ্বরের সময় লবণ জল দিয়ে কুলকুচি করা

মুখের স্বাদ খারাপভাবে প্রভাবিত হয়। এই সমস্যা দূর করতে জলে লবণ মিশিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এর জন্য গরম জল ব্যবহার করলে ভালো হবে। দিনে ২ থেকে ৩ বার এই জল দিয়ে গার্গল করুন।

অ্যালোভেরার রস

অ্যালোভেরা সাধারণত মানুষ ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবহার করে থাকে। তবে জ্বর থাকলেও ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরার রসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য মুখের তিক্ততা দ্রুত দূর করতে পারে।

মধুর গুণে পেতে পারেন উপকার। এক চা চামচ মধু নিন। এতে অর্ধেক মাপের লেবুর রস মেশান। এবার গরম জল ঢেলে দিন। চায়ের মতো করে খেয়ে নিন। মিশ্রণটি দিনে মাত্র ২ বার খেলেই মিলবে উপকার। খেতে পারেন এই বিশেষ চা। এটি শরীরকে ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।

তুলসী পাতার গুণে মিলবে উপকার। তুলসী নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। পাচ্রে জল গরম হতে দিন। এতে এই পাতা গিয়ে ফুটিয়ে নন। জলের রং বদলে গেলে তা ছেঁকে নিন। এই জল চায়ের মতো পান করুন। অ্যান্টি ব্যাকটেরিলায়ল ও অ্যান্টিবয়োটিক উপাদান আছে এতে। যা সর্দি, কাশি,জ্বর, গলার সমস্যা, ব্রংকাইটিসের সমস্যা পর্যন্ত দূর করে। আছে অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল উপাদান। যা শরীরকে জীবাণুক সঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত করে।

PREV
click me!

Recommended Stories

চারিদিকে এই সময় কঞ্জান্টিভাইটিসের সংক্রমণ বাড়ছে, চোখ বাঁচিয়ে চলবেন কীভাবে জানুন
শীতকালীন অবসাদ জানেন কী হয়? মন ভালো করতে কেক বা চকলেট নয়, করুন এই কয়েকটি উপায়