বর্ষাকালে বেশ কিছু সহজ ঘরেয়া প্রতিকার হয়েছে। যা শ্বাসযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে আর সংক্রমণ মুক্ত রাখতে বিশেষভাবে উপযোগী।
বর্ষার সময়। এই সময়টা সর্দি কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। অনেকেরই জ্বর হয়। দুর্বল হয়ে যায় শরীর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই বর্ষাকালে বেশ কিছু সহজ ঘরেয়া প্রতিকার হয়েছে। যা শ্বাসযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে আর সংক্রমণ মুক্ত রাখতে বিশেষভাবে উপযোগী।
রইল পাঁচটি সহজ ঘরোয়া প্রতিকার , যা বিশেষ করে বর্ষাকালে আপনাকে সুস্থ আর সবল রাখতে সাহায্য করবে।
১. হলুদ- দারুণ উপকারী। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ রুখতে সবথেকে পুরনো ও বিশ্বস্ত ঘরোয়া প্রতিকার। হলুদে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি ও অ্যান্টিবাকটোরিয়াল বৈশিষ্ঠ্য রয়েছে। যা , সর্দিকাশি, ব্রঙ্কাইটিস ও হাঁপানির সমস্যা দূর করতে পারে।
প্রতিকারঃ প্রত্যেকের বাড়িতেই হলুদ থাকে। এটি নিয়মিত গরম দুধ বা জলের সঙ্গে এক চামচ মিশিয়ে পান করতে হবে। তাহলেই সর্দিকাশির সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। চাইলে এর সঙ্গে আদাও নিশিয়ে নিচে পারেন।
২. মধু
মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক, তাই এটি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসায় খুব কার্যকর হতে পারে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রতিকার
নিয়মিত মধু খেতে পারেন। তবে সবথেকে ভাল হয় এক কাপ গরম জলে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে সকাল আর সন্ধ্যেবেলা পান করতে হবে।
৩. ভেপার
সংক্রমণ এড়াতে ভেপার গুরুত্বপূর্ণ। নাক ও গলার সংক্রমণে এটি উপকারি। হালকা কফ থাকলে ওষুধ ছাড়া ভেপারেই অনেক সময় সমাধান হয়ে যায়।
প্রতিকার
বাড়িতে স্টিম ইনহেলেশন করতে, একটি পাত্রে কিছু জল ফুটিয়ে তার উপর ঝুঁকুন যাতে আপনার মুখ এবং মাথা সরাসরি পাত্রের উপরে থাকে। বাষ্প ধারণ করতে আপনার মাথায় একটি তোয়ালে বেঁধে রাখুন এবং ১০ মিনিটের জন্য আপনার মুখ দিয়ে শ্বাস নিন।
হাইড্রেটেড থাকুন
বর্ষাকালে হাইড্রেটেড থাকা খুব জরুরি। সংক্রমণ রুখতে জল গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও জলের গুরুত্ব অনেক।
প্রতিকার
সারাদিনে প্রচুর জল পান করতে হবে। শিশুদের কমপক্ষে দেড় থেকে দুই লিটার জল পান করা জরুরি। অন্যদিকে প্রাপ্ত বয়স্কদের দিনে সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার লিটার জল পান করতে হবে। তবে ফ্রিজে রাখা জল না পান করাই শ্রেয়।
ঠান্ডা খাবার
বর্ষাকালে ভুলেও ঠান্ডা খাবার খাবেন না। আইক্রিম, কোল্ডড্রিঙ্কস এড়িয়ে চলুন। এইগুলিতে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে।
প্রতিকার
যদি কখন বর্ষাকালে ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেয়েও থাকেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ তাপমাত্রায় থাকা পানীয় জল কিছুটা পান করে নিন। তাহলে ঠান্ডালাগার ভয় অনেকটাই কমে যায়।