ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টা ঘরে ঘরেই লেগে রয়েছে জ্বর সর্দিকাশির সময় সমস্যা। এগুলি দূর করার সহজ প্রতিকার রইল।
ঋতু পরিবর্তনের এই সময় মানে বসন্তকাল এমনিতেই রোগের সময়। কখনও ঠান্ডা তো কখনও গরম। অবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় অসুস্থ হয়ে পড়ে শরীর। এই বছর তারসঙ্গে নতুন করে জুড়ে গেছে দূষণ। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ধুলোবালি আরও বাড়ছে। যাদের ডাস্ট এলার্জি নেই তাদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তারওপর রয়েছে স্প্রিং ফ্লু আর অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ। এই অবস্থায় ,জ্বর সর্দিকাশি অনেকেরই সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রইল কয়েকটি টোটকাঃ
মাস্ক- করোনাকালের পর যারা মাস্কের ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে মাস্ক পরুন। তাতে দূষণের হাত থেকে যেমন বাঁচবেন তেমনই বাঁচবেন রোগজীবাণুর হাত থেকে। কারণ হাঁচি, কাশি জ্বরই হচ্ছে মূল সমস্যা।
হাত ধোয়া- করোনাকালের হাত ধোয়ার অভ্যাস আবারও ফিরেয়ে আনুন। চাইলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু না চাইলে বারবার হাত ধুয়ে ফেলুন। ছোটদেরও অভ্যাস করান। খাবার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
মধু তুলসীপাতা- যেকোনও রকম সর্দিকাশি বা গলাব্যাথার সমস্যা সমাধানে মধু আর তুলসীপাতা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। প্রতিদিন সকালে একচামচ মধুর সঙ্গে দুটি থেকে তিনটি তুলসীপাতা খেতে পারেন। বাসিমুখে এটি খেলে সবথেকে বেশি উপকার পাবেন। এটি খাবার কিছুক্ষণ পরে জল খান।
আদা- কাশিতে আদা খুবই কার্যকর। আদার সঙ্গে গোলমরিচ মুখে রাখতে পারেন। তাহলে কাশি থেকে অনেকটাই আরাম পাবেন।
গরম জলের ভেপার- এই সময়টা নিয়মিত সকাল সন্ধ্যে গরম জলের ভেপার নিলে অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। চাইলে গার্গেলও করতে পারেন। তবে তাহলে অবশ্যই গরম জলে একটু নুন মিশিয়ে নিলে বেশি উপকার পাবেন।
খারারে পরিবর্তন- সর্দি বা কাশি হলে কয়েকটা দিন ডিম না খাওয়াই ভাল- যাদের অ্যালার্জি রয়েছে। এই সময়টা ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন। গরম খাবার খেলে উপকার পাবেন। তবে পুষ্টিকর খাবার জরুরি। রোজ একটি করে মরশুমি ফল খেতে পারেন।
গরমজলে স্নান-ঋতু পরিবর্তনের সময় ইষদউষ্ণজলে স্না করলে সমস্যা অনেক কমে যায়। খুব গরম জলে স্থান করবেন না। শিশুদের জন্য রোদে রেখে জল গরম করে নিতে পারেন। সেটি খুব উপকারী।
রান্নার মশলা- এই সময়টা রান্নায় হলুদ, গোলমরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরো, কালো জিরে, লবঙ্গ, দারচিনি ব্যবরার করতে পারেন। এগুলি সর্দিকাশি মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।
পাতিলুবে- পাতিলেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই রোজ পাতে রাখুন পাতিলেবু। এটি সরবত করে খেতে পারেন। ভাতের পাতেও খেতে পারেন। নিয়মিত খাওয়া জরুরি ।
তালমিছরি - কাশির সমস্যা হলে রোজ তালমিছরি খেতে পারেন। তাকে কাশি থেকে রিলিফ পাবেন।
তবে জ্বর সর্দি বা কাশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ বর্তমান সময় ভাইরাল রোগের প্রবণতা বাড়ছে।
আরও পড়ুনঃ
'আমি দেশকে অপমান করিনি', ব্রিটেনে দাঁড়িয়ে ৭০ বছর মন্তব্য নিয়ে মোদীকে আক্রমণ রাহুল গান্ধীর
International Women's Day: নিজের যত্ন রাখতে নিজেকে সময় দিন, মহিলাদের জন্য রইল ১০টি টিপস
হাঁচি-কাশি-সঙ্গে জ্বর এই সমস্যায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নয়, রইল বিশেষজ্ঞদের স্বাস্থ্য টিপস