কানে ব্যথা কমাতে হলে আগে সংক্রমণ কমাতে হবে এবং তেমন তেমন সংক্রমণ হলে অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া উপায় নেই, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। তার আগে প্রচণ্ড যন্ত্রণা কমিয়ে একটু স্বস্তি পেতে মেনে দেখতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকা।
বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজলে বা ঠান্ডা জলীয় হাওয়ায় অনেক সময় কানে ব্যথা শুরু হয়। এই সময়ে তাপমাত্রা কমে গেলে ঠান্ডাজনিত নানা সমস্যা দেখা দেয়। আর যাদের সর্দি হয় তাদের সমস্যা বেশি। এমনই একটি সমস্যা হল কান ব্যথা। কানে ব্যথা হয় সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে। পুরোনো সর্দিকাশি থেকেও কানে ব্যথা হতে পারে। আবার স্নান করতে গিয়ে কানে জল ঢুকে গিয়েও টনটন করতে পারে। কানে ব্যথা কমাতে হলে আগে সংক্রমণ কমাতে হবে এবং তেমন তেমন সংক্রমণ হলে অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া উপায় নেই, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। তার আগে প্রচণ্ড যন্ত্রণা কমিয়ে একটু স্বস্তি পেতে মেনে দেখতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকা।
আসুন জেনে নেই কানের ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকার
১. পেঁয়াজের রসের অনেক উপকারিতা। শরীরের বিভিন্ন সমস্যায় এই জুস উপকারী। কানের ব্যথায় প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ফোঁটা পেঁয়াজের রস লাগান। এবং দেওয়ার পর ৩ মিনিট বসুন। আরাম পাবেন।
২. বিশেষজ্ঞরা বলেন, কানের সমস্যায় সরষের তেল দারুণ কাজ করে। এক্ষেত্রে কানে ব্যথা হলে সরিষার তেল সামান্য গরম করে ১-২ ফোঁটা কানে ঢালুন। আরাম পাবেন।
৩. তুলসীর রস মানব জীবনে আশীর্বাদ। এই জুস শরীরের নানাভাবে উপকার করে। এক্ষেত্রে তুলসী পাতা থেকে রস বের করে ১ থেকে ২ ফোঁটা কানে দিন। দেখবেন কানের ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।
৪. প্রথমে লবণ গরম করুন। তারপর গরম লবণ একটি কাপড়ে মুড়িয়ে রাখুন। তারপর সেই কাপড়টি মুড়িয়ে কানে লাগান। দেখবেন সমস্যা কমে গেছে।
৫. পুদিনা পাতা ভালো করে বেটে রস বের করে নিন। তারপর সেই রসের ১-২ ফোঁটা কানে ঢালুন। কিছুক্ষণ বসার পর আরাম পাবেন।
৬. কানে গরম সেঁক নিলে প্রবল ব্যথাতে আরাম পাওয়া যায়। কান থেকে পুঁজ বেরোতে দেখলে গরম সেঁক নিন। তাতে কানের ভিতরে জমে থাকা পুঁজ বেরিয়ে যাবে, ব্যথার বোধও কম হবে। গরমজলে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। তারপর যে কানে ব্যথা, তার উপরে ভেজা কাপড়টা দিয়ে মিনিট দুই রাখুন। তারপর মাথা অন্যদিকে কাত করে পুঁজটা বেরিয়ে যেতে দিন।
৭. যে কোনও ওষুধের দোকানে হাইড্রোজেন পারক্সাইড পাবেন। কানের ইনফেকশন কমিয়ে পুঁজ শুকোতে দারুণ ভালো কাজ করে এই দ্রবণটি। ড্রপারে করে তিন-চার ফোঁটা দ্রবণ ব্যথার কানে দিয়ে ওভাবেই শুয়ে থাকুন কিছুক্ষণ। তারপর মাথা অন্যদিকে কাত করে কানের ভিতরের তরলটা বের করে দিন। দিনে বেশ কয়েকবার করতে পারেন। ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমে ব্যথাও কমে যাবে।
এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করার পরেও, কানের ব্যথা প্রায়শই দূর হয় না। কিন্তু তারপর সাবধান হতে হবে। তাহলে বুঝতে হবে আরেকটি জটিল সমস্যা কানে বাসা বেঁধেছে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ইএনটি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।