World Sleep Day 2023 : ঘুমের মধ্যে স্লিপ প্যারালাইসিসের শিকার হচ্ছেন, এই লক্ষণ দেখলে আগেই সাবধান হোন

অনেকসময় ঘুমের মধ্যে স্লিপিং প্যারালাইসিস হবারও সম্ভাবনা বেশি থাকে। কম ঘুমের কারণে অনেকসময় হাত পা শিথিল হয়ে আসে। ঠিকমতো নাড়ানো পর্যন্ত যায় না। তাই সারাদিনে খুব কম করেও ৬-৭ ঘন্টা ঘুমোনো অবশ্যই দরকার। অনিয়মিত ঘুমের কারণেই শরীরে দানা বাঁধছে  রোগ।

 

Web Desk - ANB | Published : Mar 16, 2023 10:36 AM IST

সারাদিনে অক্লান্ত পরিশ্রমের পর রাতের ঘুম ভীষণ জরুরি। কিন্তু সেটাই আর সম্ভব হচ্ছে না। হাতের কাজ শেষ হতে না হতেই আরেকটা কাজ এসে উপস্থিত। আর কাজের চাপের ফলে ঘুমটাই আর হচ্ছে না। হাজারো কাজ শেষ করতে গিয়ে রাতে দেরিতে ঘুমোতে যাচ্ছেন আবার সকাল উঠেই বেরিয়ে পড়ছেন কর্মক্ষেত্রে। আর এসবের কারণেই ঘুমটা পর্যাপ্ত পরিমাণে হচ্ছে না। এই অনিয়মিত ঘুমের কারণেই শরীরে দানা বাঁধছে নানান রোগ। অনেকেই ভাবছেন শরীর একদম সুস্থ আছে, কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। 

কাজের চাপ, মানসিক স্ট্রেস, কম ঘুমের জন্যই জটিল রোগের শিকার হচ্ছেন আপনি। অপর্যাপ্ত ঘুমই ডেকে আনছে এই বিপদগুলি।কম ঘুমের জন্য নানা রোগের সৃষ্টি হয়। যেমন অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে বেড়ে যায় হৃদরোগের সম্ভাবনা। কম ঘুম হৃদপিন্ডের স্পন্দনে ব্যাঘাত ঘটায়। দীর্ঘদিন কম ঘুমোলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা যেমন বেড়ে যায় তেমনি এর পাশাপাশি হার্ট ফেইলিওরও হতে পারে। এছাড়া ব্লাডপ্রেসার, ডায়াবেটিস-এর মতো কঠিন রোগগুলি চিরতরে বাসা বাঁধবে আপনার শরীরে।

 

 

অনেকসময় ঘুমের মধ্যে স্লিপিং প্যারালাইসিস হবারও সম্ভাবনা বেশি থাকে। কম ঘুমের কারণে অনেকসময় হাত পা শিথিল হয়ে আসে। ঠিকমতো নাড়ানো পর্যন্ত যায় না। তাই সারাদিনে খুব কম করেও ৬-৭ ঘন্টা ঘুমোনো অবশ্যই দরকার। যখন কোনও ব্যক্তি ঘুমানোর চেষ্টা করে তখন স্লিপ প্যারালাইসিসের সমস্যা হতে পারে। আবার কখনও গভীর ঘুমের মধ্যেও হতে পারে, যা মানুষকে আচমকা ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। আবার বেশি কাজ করলেও হতে পারে। তবে এটি একটি মস্তিষ্কের রোগ, অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকলে এটা হয়। দীর্ঘদিন এই কম ঘুম হলে ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাধে নানা জটিল রোগ। যেমন-হাইপ্রেশার, মাথা ব্যথা, চোখের সমস্যার মতো নানা রোাগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই রাতে ভাল মতো ঘুমানোর জন্য ভাল খাবারও খেতে হবে। কম ঘুমের জন্য শরীর ম্যাজম্যাজে লাগে। যার ফলে কোনও কাজই করতে ভাল লাগে না। সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব লাগবে। যখনই এরকম কোনও লক্ষণ দেখবেন তখনই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তারের পরিভাষায় এই রোগকে নারকোলেন্সি বলে। এটি খুবই মারাত্মক একটি রোগ। এই রোগ না ঘুমের কারণেই হয়। সারাদিন ঝিমঝিম ভাব,কী কাজ করছেন মনে রাখতে পারছেন না, কাজ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ছেন। এইগুলি হলে আগেই সাবধান হতে হবে। এর পাশাপাশি রাতের ঘুমোনোর সময়েও বাড়ছে মোবাইল ঘাটার প্রবণতা। যতক্ষণ ঘুম আসছে না ততক্ষণই চলতে থাকে ফেসবুক,হোয়াটসঅ্যাপও এছাড়া আরও নানা সাইটে চোখ বোলানো। যা চরম ক্ষতি করছে শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্ক ও চোখের। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে  ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি।

 

 

Share this article
click me!