শীতকাল ছাড়া কলকাতার আবহাওয়া এমন থাকে যে ঘাম আটকানো মোটেই সহজ কাজ নয়। বাতাসে এতটাই আর্দ্রতা থাকে যে ঘাম হতে বাধ্য হয়। তবে অনেকের মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হয়। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের অস্বস্তিও হয় বেশি। এছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, সাজগোজও নষ্ট হয়ে যায়।
জেনে নেওয়া যাক এই অতিরিক্ত ঘামের অস্বস্তি থেকে কী ভাবে রেহাই পাওয়া যায়।-
১) রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অ্যান্টিস্প্যারেন্ট ব্যবহার করুন। এটি ঘামকে আটকে দেয় যার জন্য ত্বক পর্যন্ত ঘাম পৌঁছতে পারে না। ডিওডোরেন্ট কেবল ঘামের গন্ধ দূর করতে পারে। কিন্তু ঘাম আটকাতে গেলে অ্য়ান্টিস্প্যারেন্ট ব্যবহার করুন। ওষুধের দোকান থেকে এটি কিনুন। ব্যবহার করার আগে বগল পরিষ্কার করুন। এবং দেখু বগল শুকনো রয়েছে কি না।
আরও পড়ুনঃ প্রচণ্ড মাথা ব্যাথার কারণ কী! ধরন দেখেই বুঝে নিন কেন এই যন্ত্রণা
২) যাঁদের ঘাম বেশি হয় তাঁরা সূতির পোশাক পরার চেষ্টা করুন। বেশি চাপা জামা পরবেন না। হালকা রঙের জামা পরুন। রোদে বেরোলে অবশ্যই পাতলা কাপড়ের হাওয়া চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরুন।
৩) শরীর গরম করে এমন কিছু খাবার বাদ দিন। মশলাদার, ঝাল খাবার দাবার একেবারেই ডায়েট থেকে বাদ দিন। বিশেষ করে কোথাও বেরনোর আগে এই খাবারগুলি খাবে না। ক্যাফিন জাতীয় খাবার খাবেন না। এতে হাতের তালু, পায়ের পাতা বেশি ঘামে।
৪) শরীর যখন ঠান্ডা হতে চায় তখনই তা ঘামে। তাই নিজের শরীরকে নিজেই ঠান্ডা রাখার পদ্ধতি জানতে হবে। টেবিল ফ্যানের সামনে এক বাটি বরফ রাখতে পারেন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকে। ঘর পরিষ্কার ও ফাঁকা রাখুন যাতে হাওয়া চলাচল করতে পারে। নিজের সরীরকে হাইড্রেটেড রাখাও জরুরি। বেশি করে জল খান।
৫) তবে অস্বাভাবিক মাত্রায় ঘাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। উদ্বেগ, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ, রক্তাল্পতা সহ বিভিন্ন রোগের শিকার হলে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।