বিদেশের বাজারে ক্রমে চাহিদা বাড়ছে কাঁকড়ার, জেনে নিন কাঁকড়া চাষের পদ্ধতি

উপকূলীয় অঞ্চলে কাঁকড়ার চাষ কর্মসংস্থান ও দারিদ্রতা দূর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। বিদেশে কাঁকড়ার চাহিদা রয়েছে বিস্তর। চীন, তাইওয়ান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালায়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশে রপ্তানি হয় কাঁকড়া। আমাদের দেশে মোট ১৫ প্রজাতির কাঁকড়া উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ১১ প্রজাতির সামুদ্রিক কাঁকড়া (Crab)  বলে জানা গিয়েছে।

Sayanita Chakraborty | Published : Feb 23, 2022 10:25 AM IST / Updated: Feb 23 2022, 03:59 PM IST

রপ্তানিকৃত মাছগুলোর মধ্যে চিংড়ির পরই আসে কাঁকড়ার (Crab) নাম। প্রতি বছর কাঁকড়া রপ্তানি থেকে প্রায় ২৫ কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা আয় হচ্ছে দেশে। বর্তমানে উপকূলীয় অঞ্চলে কাঁকড়ার চাষ কর্মসংস্থান ও দারিদ্রতা দূর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। বিদেশে কাঁকড়ার চাহিদা রয়েছে বিস্তর। চীন, তাইওয়ান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালায়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশে রপ্তানি হয় কাঁকড়া। আমাদের দেশে মোট ১৫ প্রজাতির কাঁকড়া উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ১১ প্রজাতির সামুদ্রিক কাঁকড়া (Crab)  বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে শীলা ও সাঁতারো প্রজাতির কাঁকড়া বিদেশে বেশি রপ্তানি হয়। রপ্তানি কাঁকড়ার ৯২ শতাংশ যায় চীনে। বাকি হয় অন্যান্য দেশে।        

পশ্চিমবঙ্গের সুন্দর বন এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার জেলে কাঁকড়া ধরে সংসার চালায়। প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এবং জুন থেকে জুলাই হচ্ছে কাঁকড়ার (Crab) প্রজনন কাল। কাঁকড়ার গড় আয়ু দেড় থেকে ২ বছর। চিংড়ি ঘেরের ৯০ শতাংশ কাঁকড়াই সংগ্রহ করা হয়। দক্ষিণাঞ্চলে দেড় থেকে ২ লক্ষ জেলে কাঁকড়া চাষ করে থাকে। জানা গিয়েছে, প্রজনন কালে ডিম থেকে কাঁকড়ার জন্ম হয়। এসব পোনা পানিতে ভেসে নদী, খাল বিল ও মাছের ঘরে আশ্রয় নিয়ে বড় হয়। 

এই কাঁকড়া চাষ করা যায় তিন ভাবে। প্রথমে ছোট ছোট পুকুরে রেখে কাঁকড়া চাষ করা হয়। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে বড়বড় ঘেরে বা চৌবাচ্চায় চিংড়ির সঙ্গে কাঁকড়ার চাষ করা হয়। তৃতীয় পদ্ধতিতে উন্মুক্ত জলাশয়ে খাঁচায় আটকে রেখে কাঁকড়া চাষ করা হয়। খামারে কাঁকড়ার খাবার হিসেবে ছোট মাছ, কুঁচে, শামুকের মাংস দেওয়া হয়। এসব খাবার চাষিরা ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে কিনে থাকেন। জানা গিয়েছে, রপ্তানির উপযোগী কাঁকড়ার ওজন হয় ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম। এসব কাঁকড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিত্রি করা হয়। কোও কোনও সময় ১ কেজি কাঁকড়ার ৮০০ থেকে ৯০০ টাকাতেও বিক্রি হয়। পশ্চিমবঙ্গে একস্তরের মানুষরা কাঁকড়া চাষের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে, কাঁকড়া রপ্তানি করা সহজ নয়। এক্ষেত্রে বনদফতরের ছাড়পত্র প্রয়োজন। সেই ছাড়পত্র মেলে তবেই কাঁকড়া রপ্তানি করা সম্ভব। তবেই এই কাঁকড়া (Crab) বাজারে বিক্রি করা সম্ভব। 

আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য, বাজারে এল নয়া স্টাইলের উভচর বাইক, জলে-স্থলে চলবে অবলীলায়

আরও পড়ুন: ফের খবরে আম্বানি পরিবারের বিয়ে, সাত পাকে বাঁধা পড়লেন আনমোল ও কৃশা, ভাইরাল ছবি

আরও পড়ুন: এই ১০টি অনুভূতি বলে দেবে আপনি তার প্রেমে পড়েছেন, জেনে নিন কী কী

Share this article
click me!