বড়দিন আসার সঙ্গে সঙ্গে শীতটা যেন জাঁকিয়ে পড়ে। আর এবার বড়দিন আসার আগেই শীতটা ভাল ভাবে পড়ে গিয়েছে। শীতকাল এলেই কম্বল মাস্ট। কম্বল ছাড়া যেন শীতকাল ঠিক সম্পূর্ণ হয়না। এটি এমনই একটা জিনিস যেটা বছর বছর কেনা হয় না। আবার প্রতিবছর ব্যবহারের পরে তা পরিস্কার করে কাচাও সম্ভব হয় না। কিন্তু কম্বল এমনই একটা জিনিস, যা অত্যন্ত আরামদায়ক। আর সে কারণেই এর বিশেষ কিছু যত্নের প্রয়োজন। সামান্য একটু পরিচর্যা করলেই কম্বলকে ভাল রাখা যায়। শীতকালীন সঙ্গী কম্বলকে ভাল রাখার সহজ কিছু পদ্ধতি রইল।
আরও পড়ুন-বর্ষশেষে দেখে নেওয়া যাক গুগল সার্চে কে এগিয়ে, জানলে চমকে যাবেন আপনি...
ভাল করে ঝাড়ুন
শীতে মাঝে-মধ্যেই ঝলমল করে রোদ ওঠে। যেদিনই রোদ উঠবে সেদিনই মনে করে কম্বল রোদে দেবেন। এবং কোনও একটি স্ট্যান্ডের মধ্যে কম্বল ঝুলিয়ে দিয়ে ভাল করে ঝেড়ে নিতে পারেন। এতে খুব সহজেই ধুলো গুলো চলে যায়। এবং কম্বলও আরামদায়ক হয়ে ওঠে।
ক্লাব সোডা
কম্বলে কোনও জেদি দাগ থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে পরিস্কার করে নিন। পুরোনো দাগ কম্বল থেকে ওঠানো খুব মুশকিল হয়ে যায়। তবে দাগ তোলার ক্ষেত্রে কোনও সাবান সরাসরি ব্যবহার করবেন না। তার বদলে ঠান্ডা জলের সঙ্গে মাইল্ড ডিটারজেন্ট, ক্লাব সোডা, মিশিয়ে যে জায়গায় দাগ লেগেছে সেখানে কিছুক্ষণ রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
ঠান্ডা জল দিয়ে পরিস্কার করুন
কম্বল বারবর কাচবেন না। এতে কম্বলের ওম নষ্ট হয়ে যায়। কাচার সময় সবসময় ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন। আর কম্বল কাচার ডিটারজেন্ট দিয়ে হালকা করে কেচে নিন।
ড্রায়ার নয় হাওয়াতে রাখুন
ড্রায়ার দিয়ে কম্বল শোকালে তাতে কম্বলের তন্তুর ক্ষতি হয়। তাই ড্রায়ার ভুলে বাতাসে শুকিয়ে নিন কম্বল। কড়া রোদও কম্বল না শোকানোও ভাল তার বদলে হালকা ছায়া আবার স্যাঁতস্যাতে নয়, এমন জায়গায় কম্বল শোকান।
আরও পড়ুন-হার্ট অ্যাটাক থেকে স্ট্রোকের ঝুঁকি, সমস্যার সমাধানে খাবারে অবশ্যই রাখুন শুকনো লঙ্কা...
নিম রাখুন
কম্বল ব্যবহারের পর যেই জায়গায় কম্বল রাখবেন সেখানে কয়েকটি নিমপাতা রাখুন। এতে অনেক উপকার পাবেন।
ব্রাশ ব্যবহার করুন
পুরোনো ব্রাশ দিয়ে ধীরে ধীরে কম্বল ব্রাশ করতে থাকুন। পরিস্কার জায়গায় কম্বল বিছিয়ে একই দিকে ব্রাশ করুন। তাহলে আটকে থাকা ধুলে বেরিয়ে যাবে।