কফি প্রেমীদের জন্য রইল কফি সম্পর্কে কয়েকটি ভ্রান্ত ধারণা, যা বিশ্বাস করেন অনেকেই

  • বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় কফি
  • বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল কফি ডে
  • ১ অক্টোবর পালিত হয় এই বিশেষ দিন
  • আপনার এর সম্পর্কে কয়েকটি ভ্রান্ত ধারণা  

Asianet News Bangla | Published : Oct 1, 2020 8:31 AM IST

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় কফি। আজকের দিনটিতে বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল কফি ডে বা কফি দিবস হিসেবে। বিশ্বব্যাপী কফি দিবসটি প্রতি বছর ১ অক্টোবর পালিত হয়। এই দিনটি বিশেষ করে উদযাপন করা হয় কফি চাষের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ কৃষক-দের সম্মান জানানোর জন্য। তবে এই জনপ্রিয় পানীয় সম্বন্ধে রয়েছে প্রচুর ভ্রান্ত ধারণা। যার সত্যতা যাচাই না করেই বিশ্বাস করেন অনেকে। অনেকেই এমন আছেন যাঁরা কফি ছাড়া দিন শুরু করেন না। কফি পান করা অনেক উপকারীতা রয়েছে। তবে অতিরিক্ত পরিমানে কফি পান করলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি আপনিও কফির প্রতি আগ্রহী হন, তবে আপনার এর সম্পর্কে কয়েকটি ভ্রান্ত ধারণা  ও বাস্তবতা জানা উচিত।

কফির বিষয়ে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা হল, এটি পান করলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়। কফি সম্পর্কে এই ভ্রান্ত ধারণা হওয়ার কারণ হল এতে ক্যাফিনের উপস্থিতি। অত্যধিক পরিমানে ক্যাফিন খাওয়ার ফলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হতে পারে। যার কারণে কফি সম্বন্ধে এমন ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে। তবে সুষম পরিমাণে কফি খাওয়ার ফলে শরীর ডিহাইড্রেট হয় না।

কফি মাথাব্যথা নিরাময় করে- কফির উপাদানগুলি অ্যালকোহলের প্রভাব বা হ্যাঙ্গওভার কমাতে সাহায্য করে না। বরং এটি আরও মাথা ব্যথার দিকে পরিচালিত করতে পারে। কফি পান করলে রক্তের চাপ বৃদ্ধি পায় এবং আপনার যদি ইতিমধ্যে মাথা ব্যাথা থাকে তবে তা কমার পরিবর্তে বৃদ্ধি পেতে পারে।

কফি ওজন কমাতে সহায়ক- কফি পান করলে ক্ষুধার নিবৃত্তি হয়। তাই খিদে কম পায়। ফলে এটি আপনাকে কম খেতে সহায়তা করতে পারে। তবে ওজন কমানোর বিষয়টি কেবল একটি ভ্রান্ত ধারণা মাত্র। আপনার বিপাক বাড়াতে এটির একটি গৌণ অংশ রয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে কেবল কফি পান করে ওজন হ্রাস করা সম্ভব হবে নয় ক্ষতিকারক।

গর্ভবতী মহিলারা কফি খাবেন না- কফির পানের বিষয়ে এটি আরও একটি ভ্রান্ত ধারণা। গর্ভবতী মহিলারাও কফি পান করতে পারেন তবে তাদের প্রতিদিনের খাওয়া সীমাবদ্ধ করতে হবে। গর্ভাবস্থায়, ডায়েটে কফি যুক্ত করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

রক্তচাপ  বৃদ্ধি- প্রতিদিন অত্যাধিক পরিমানে কফি পান করলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। যার ফলস্বরূপ হার্টের সমস্যা বাড়তে পারে। এইভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য কেউ ক্যাফিনের দৈনিক গ্রহণকে সীমাবদ্ধ করতে পারে। হৃদরোগের রোগীদের তাদের ডায়েট চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে কপি ডায়েটে রাখতে পারেন। 

নিয়ম মেনে প্রতিদিন কফি পান স্বাস্থ্যকর পরিমিত পরিমাণে কফি আপনার উপকার করতে পারে। কফি হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এমনকী পার্কিনসন রোগের ঝুঁকি এবং এর প্রভাবগুলি হ্রাস করতে কফি পান করার কথাও শোনা গিয়েছে। অনেক গবেষণা সত্য প্রকাশ করেছে যে ক্যাফিন এই ধরণের ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। কফি শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বাড়ায়। কারণ ক্যাফিন গ্রহণের ফলে আপনার মস্তিস্ককের কাজ করার শক্তি বাড়িয়ে তোলে। এটি আপনার শরীরকে শক্তিশালী এবং সক্রিয় করে তুলতে সাহায্য করে। 

Share this article
click me!