নিয়ন্ত্রণে রাখুন ডায়াবেটিস, ভরসা রাখুন এই খাবারগুলির উপর

  • বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিস সাধারাণত ডায়াবেটিস মেলিটাস বোঝায়
  • ডায়াবেটিস মেলাইটাস আবার দু'রকম হতে পারে
  • বহুমূত্র রোগ, মধুমেহ বা ডায়াবেটিস মেলিটাস একটি হরমোন সংশ্লিষ্ট রোগ
  • শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতিই হল এই রোগের মূল কথা

deblina dey | Published : Dec 21, 2019 10:33 AM IST / Updated: Dec 23 2019, 09:03 AM IST

বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিস সাধারাণত ডায়াবেটিস মেলিটাস বোঝায়। তবে ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস নামে আরেকটি রোগ আছে যাতে মূত্র উৎপাদন বেশি হয় কিন্তু তা এডিএইচ অ্যান্টি ডাইইউরেটিক হরমোন নামে অন্য একটি হর্মোনের উৎপাদনের অভাব। এ দুটির মধ্যে ডায়াবেটিস মেলাইটাসের প্রকোপ অনেক বেশি। ডায়াবেটিস মেলাইটাস আবার দু'রকম হতে পারে। যথা টাইপ-১ বা ইনস্যুলিন নির্ভরশীল এবং টাইপ-২ বা ইনস্যুলিন নিরপেক্ষ ডায়াবেটিস। বহুমূত্র রোগ, মধুমেহ বা ডায়াবেটিস মেলিটাস একটি হরমোন সংশ্লিষ্ট রোগ।

আরও পড়ুন- ঘুমের মধ্যেই মারাত্মক পেশির টান, অবহেলা নয় নজরে রাখুন এই বিষয়গুলি

দেহযন্ত্র অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে 'ডায়াবেটিস' বা 'বহুমূত্র রোগ' হয়। তখন রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতিজনিত অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। ইনসুলিনের ঘাটতিই হল এই রোগের মূল কথা। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন ইনসুলিন, যার সহায়তায় দেহের কোষগুলো রক্ত থেকে গ্লুকোজকে নিতে সমর্থ হয় এবং একে শক্তির জন্য ব্যবহার করতে পারে। ইনসুলিন উৎপাদন বা ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা-এর যে কোনোও একটি বা দুটোই যদি না হয়, তাহলে রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজ। আর একে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঘটে নানা রকম জটিলতা, দেহের টিস্যু ও যন্ত্র বিকল হতে থাকে।

আরও পড়ুন- ফল নয়, ফলের খোসার রয়েছে হাজারো গুণ

শস্য দানা- প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শস্য দানা মানুষের শরীরের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমে। একইভাবে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ব্রাউন রাইস।

বাদাম- গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রায় ২১ শতাংশ অবধি কমায় চীনাবাদাম। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছুটা আখরোট বা কাজুবাদাম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

গ্রিন টি- এই গ্রিন টি ইনসুলিনের মতো কাজ করে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই ভাল মানের গ্রিন টি বেছে নিন। 

মাছ- গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। তাই পাতে রাখুন এই ধরনের মাছ।

লেবু- লেবু ও লেবু জাতীয় ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে। তবে লেবু জাতীয় ফল খেলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়। জাম্বুরা, কমলা, মৌসম্বি  ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের মতো কাজ করে।

ডিমের সাদা অংশ- ডিমের উপকারীতা সম্পর্কে আলাদা করে বলার কিছুই নেই। ডিম পেশি গঠনকারী খাদ্য। এতে রয়েছে উচ্চ মানের প্রোটিন। আর ডিমের সাদা অংশে উচ্চমানের চর্বিহীন প্রোটিন এবং কমমাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা দুই ধরণের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। 

সবুজ শাক সবজি- সবুজ শাক সবজি ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। পালং শাক, বাঁধাকপি, শালগম, ফুলকপি, লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। গবেষণায় বলা হয়, সবুজ শাক সবজি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়।

Share this article
click me!