শিশুদের ঘুম পাড়ানোর সহজ উপায় কী জানেন? এক টিপসেই মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বে

শিশুদের ঘুম পাড়ানোর সহজ উপায় কী জানেন? এক টিপসেই মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বে

Anulekha Kar | Published : Jan 23, 2025 10:11 PM
15

শিশুদের দ্রুত ঘুম পাড়ানো অভিভাবকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ শিশুরা সারাদিন খেলাধুলা করার পর রাতে সঠিক সময়ে ঘুমাতে চায় না। এর ফলে অভিভাবকদের ঘুমও নষ্ট হয়। রাত জেগে থাকলে মা এবং শিশু উভয়েরই দৈনন্দিন রুটিন ব্যাহত হয়। देर रात জেগে থাকা এবং দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। শিশুরা যদি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে, তাহলে তাদের বৃদ্ধির হরমোনগুলি সঠিকভাবে কাজ করে এবং তাদের শারীরিক বিকাশও উন্নত হয়।

25

অভিভাবকদের তাদের শিশুদের রাত ৯ থেকে ১০ টার মধ্যে ঘুম পাড়ানো উচিত। সকাল ৭ টা থেকে ৮ টার মধ্যে তাদের ঘুম ভাঙা উচিত। এর ফলে শিশুর মনোযোগ বৃদ্ধি পায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং তারা সুস্থ থাকে। যদি শিশু সঠিকভাবে ঘুম না পায়, তাহলে সে चिड़चिड़ा হয়ে ওঠে এবং তার আচরণে পরিবর্তন দেখা দেয়। এছাড়াও, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ போன்ற সমস্যাও বৃদ্ধি পায়। যদি আপনার শিশু রাতে ঘুমোতে না চায়, তাহলে শিশুকে সময়মতো ঘুম পাড়ানোর জন্য কিছু টিপস এখানে দেওয়া হল।

35

একই সময়ে ঘুমানো:

শিশুরা যদি ঘুমানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন অনুসরণ করে, তাহলে তারা প্রতিদিন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বে। উদাহরণস্বরূপ, যদি রাত ৯ টা থেকে সকাল ৭-৮ টা পর্যন্ত ঘুমানোর সময় নির্ধারণ করা হয়, তাহলে তারা সুস্থ থাকবে।

মনকে শান্ত করুন:

আপনার শিশু ঘুমানোর আগে তাদের মনকে শান্ত করুন। তাদের প্রিয় গল্প, মিষ্টি গান শোনান। যদি আপনার শিশু শুয়ে থাকার পরেও ঘুমোতে না পারে, তাহলে তার মন শান্ত নয়।

45

দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস করাবেন না!

তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস করাবেন না। যদি তারা ঘুমাতে চায়, তাহলে আধ ঘণ্টার বেশি ঘুমাবেন না। কারণ শিশু যদি দুপুরে বেশি সময় ধরে ঘুমায়, তাহলে রাতে ঘুমোতে অসুবিধা হবে।

নিরাপদ পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ:

ছোট শিশুরা সাধারণত একাকী ঘুমাতে ভয় পায়। বিশেষ করে অন্ধকারে তারা বেশি ভয় পায়। ভয়ের কারণে শিশুরা রাতে ঘুমোতে পারে না। তাই শিশু ঘুমানোর আগে তাদের ভয় পাওয়ার মতো কিছু দেখতে দেবেন না। শিশুর ঘর শান্ত এবং নীরব হওয়া উচিত। তাহলেই শিশু রাতে আরাম করে ঘুমোতে পারবে।

55

রাতে স্বাস্থ্যকর খাবার দিন:

শিশুকে রাতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান। ৭-৮ টার মধ্যে তাদের খাবার শেষ করার অভ্যাস করান। দেরিতে খাবার খেলে পাচন করতে বেশি সময় লাগে। এর ফলে শিশুরা রাতে ঘুমোতে অসুবিধা বোধ করে। অতিরিক্ত খাবার দেবেন না। চা ও কফি কখনোই দেবেন না।

শিশুর ঘরে ঘড়ি রাখবেন না!

শিশু যেখানে ঘুমায় সেখানে কখনোই ঘড়ি রাখবেন না। কারণ শিশু ঘড়ির দিকে তাকিয়ে কখন ঘুমোবে তা ভাববে। সকালে অ্যালার্ম বাজলে তারা ভয় পেয়ে উঠে পড়বে। শিশুর ঘুমের জন্য সময় গুরুত্বপূর্ণ নয়, ঘুমের মান গুরুত্বপূর্ণ বুঝতে হবে।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos