অতিরিক্ত নীল ছবি দেখলে বাস্তব এবং কল্পনার মধ্যে একটি ফারাক তৈরি হয়, এমনই মতামত দিচ্ছেন মনরোগ বিশেষজ্ঞরা।
নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি সবসময়েই কৌতূহল বেশি তৈরি হয়। কিন্তু, কখনও কখনও সেই কৌতূহল মেটানোর ইচ্ছা পরিণত হয় আসক্তিতে। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি টানের মধ্যে ‘পর্নোগ্রাফি’ এক প্রধানতম বিষয়। ইন্টারনেট জগত অনেকটা সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় পর্নোগ্রাফি-র কৌতূহল এখন অনেক পূর্ণবয়স্ক মানুষ এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেও আসক্তিতে পরিণত হয়ে গেছে।
-
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত নীল ছবি দেখলে বাস্তব এবং কল্পনার মধ্যে একটি ফারাক তৈরি হয়। ব্যক্তিগত জীবনেও এর প্রভাব পড়ে। খুব বেশি পর্ন দেখার অভ্যাস অনেক সময়ে নিজের মনে লুকিয়ে থাকা যৌনতার ভাষাকেও বদলে দেয়। মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের পর্দায় যৌনতার যে ছবি ফুটে ওঠে, সেটাকেই যৌনতার সঠিক পথ বলে ধরে নিতে শুরু করেন অনেকে। অনেক সময়ে ভাবনার মধ্যেও সেটিই একমাত্র নিদর্শন হয়ে থেকে যায়।
-
এছাড়াও, অতিরিক্ত পর্ন দেখার ফলে পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে শিথিল যৌনাঙ্গের সমস্যা। পর্ন দেখার অভ্যাস হয়ে গেলে সঙ্গমকালে সুখ পান না অনেকেই। বাস্তব থেকে তাঁরা দূরে চলে যান। অতিরিক্ত পর্ন দেখলে নেশা হয়ে যেতে পারে। সেই আসক্তি ছাড়াতে সমস্যা হয়। যৌনজীবনের পাশাপাশি রোজের কাজকর্মেও এর প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত পর্ন দেখলে যৌনসঙ্গমের জন্য একাধিক সঙ্গীর খোঁজ করার প্রবণতা দেখা দেয়। তার ফলে যৌনবাহিত রোগেরও ঝুঁকি বেড়ে যায়।
-
মনোবিদদের মতে, চটজলদি ক্লান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার ইচ্ছায় অনেকে পর্নোগ্রাফি বেছে নেন। ধীরে ধীরে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা অংশ হয়ে উঠেছে পর্নোগ্রাফি। সবক্ষেত্রে পর্ন দেখা খারাপ বিষয় নয়। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে যে, পর্ন ছবিই যৌনতার সর্বোত্তম উপায় নয় এবং এটাই যৌনতার একমাত্র পদ্ধতি নয়। জীবনের একটা অংশ হয়ে উঠলেও, পর্ন যেন জীবন না হয়ে ওঠে, সেই বিষয়েই সতর্ক করেছেন মনোবিদরা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।