এই পদার্থ ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেই দারুণ উপকার! গুণাগুণের লিস্ট দেখলে তাক লেগে যাবে
ঘিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভালো ফ্যাট এবং প্রোটিন। অনেকেই মনে করেন ঘি খেলে ওজন বেড়ে যায় এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু পরিমিত পরিমাণে ঘি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ঘি আমাদের খাবারে সুস্বাদু স্বাদ যোগ করে। শুধু স্বাদই নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু উপাদানের সাথে ঘি মিশিয়ে খেলে আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন উপাদানের সাথে ঘি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
এক টেবিল চামচ ঘিতে রয়েছে ১১২ ক্যালোরি, ১৪ গ্রাম ফ্যাট, ০.০৪ গ্রাম প্রোটিন, ৪৩৮ আইইউ ভিটামিন এ, ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ডি, ১.২ মিলিগ্রাম ভিটামিন কে, ২.৭ মিলিগ্রাম কোলিন, ৪৫ মিলিগ্রাম ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ২.৭ মিলিগ্রাম ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড।
হলুদ
হলুদ প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ মশলা। কার্কিউমিন হলুদের একটি প্রাকৃতিক ফাইটোকেমিক্যাল। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি বাতের ব্যথায় খুবই উপকারী। এছাড়াও, এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-অ্যালার্জি উপাদান রয়েছে। অনেক উপকারী হলুদ ঘি-এর সাথে মিশিয়ে খেলে এর কার্যকারিতা বহুগুণ বেড়ে যায়। এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং শরীরের ব্যথা ও প্রদাহ কমায়।
দারচিনি
হলুদের মতো দারচিনিও রান্নাঘরে বহুল ব্যবহৃত একটি মশলা। শরীরের বিভিন্ন সমস্যা নিরাময়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-অ্যালার্জি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই চুলায় পানি ফুটতে থাকলে তাতে ঘি এবং দারচিনি মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পান করলে দ্বিগুণ উপকার পাওয়া যায়।
রসুন
রান্নাঘরে ব্যবহৃত আরেকটি উপাদান হলো রসুন। রসুন সব ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা হয়। রসুনে প্রচুর ঔষধি গুণ রয়েছে। আমাদের অনেকেই কাঁচা বা ভেজে রসুন খাই। কিন্তু রসুন ঘিতে ভেজে খেলে স্বাদও ভালো লাগে এবং উপকারিতাও বহুগুণ বেড়ে যায়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, ত্বকের জন্য উপকারী এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কর্পূর
কর্পূর হিন্দু ধর্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে অ্যান্টি-অ্যালার্জি উপাদান রয়েছে। এটি হজমে সাহায্য করে এবং ব্যথা উপশমেও ব্যবহৃত হয়। কর্পূর ঘি-এর সাথে গরম করে ঠান্ডা করে বায়ুরোধী কাঁচের পাত্রে রাখুন। ব্যথার জায়গায় লাগালে ব্যথা কমে যায়।
তুলসী
হিন্দু ধর্মে তুলসীকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, অনেক ঔষধি গুণ সম্পন্ন এই পাতা অনেকেই কাঁচা খেয়ে থাকেন। তুলসীতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং পটাশিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
তুলসীতে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলি শরীরের নানা সমস্যায় ঔষধ হিসেবে কাজ করে। তুলসী রক্তে শর্করার মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। তাই তুলসী পানিতে ফুটিয়ে তাতে সামান্য ঘি মিশিয়ে ছেঁকে পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।