এই নক্ষত্রের উপস্থিত কণাগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আকর্ষণে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। আমরা এই উজ্জ্বল উল্কাপাতগুলি দেখতে পাই। আর মনে হয় তারাগুলো পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে তারা পড়ে না।
উল্কাপাত একটি বিশেষ জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনা, যা দেখতে রাতের বেলা শহরের আলো থেকে দূরে বা বাড়ির ছাদে যেতে হবে যেখান থেকে আকাশ পরিষ্কার দেখা যায়। আকাশে উল্কাপাতের ঝরনা দেখা যাবে। এই উল্কাপাত দূরবীন ছাড়াও দেখা যায়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, এই সুন্দর জ্যোতির্বিদ্যার ঘটনাটি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে, যা চলবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এটি ১৩ এবং ১৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে তার শীর্ষে থাকবে।
উল্কাপাত কীভাবে হয়-
এটি একটি গ্রহাণু দ্বারা সৃষ্ট, যা পাথর দ্বারা তৈরি। এই গ্রহাণুটি প্রতি ১.৪ বছরে সূর্যের চারদিকে ঘোরে। এই সময় এটি সূর্যের খুব কাছাকাছি চলে যায়। সূর্যের তাপের কারণে এতে জমে থাকা গ্যাস এবং এর কণাগুলো বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে এবং একটি আলোকোজ্জ্বল লেজের মত তৈরি হয়। আমাদের পৃথিবী যখন তার পাশ দিয়ে যায়, তখন এই নক্ষত্রের উপস্থিত কণাগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আকর্ষণে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। আমরা এই উজ্জ্বল উল্কাপাতগুলি দেখতে পাই। আর মনে হয় তারাগুলো পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে তারা পড়ে না। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে কোনও বস্তু প্রবেশ করলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘর্ষণের কারণে তা জ্বলতে থাকে।
যারা নিয়মিত রাতে আকাশ পর্যবেক্ষণ করেন। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই জ্যোতির্বিদ্যার ঘটনাটি তাদের কাছে দৃশ্যমান হয়। ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বিজ্ঞান প্রসার (ভিআইপিএনইটি) থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।