ডেটা সুরক্ষা দিবসে জেনে নিন কীভাবে ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করবেন, রইল বিশেষ কয়টি উপায়
পালিত হচ্ছে ১৭তম ডেটা সুরক্ষা দিবস। প্রতি বছর ২৮ জানুয়ারী বিশ্বব্যাপী পালিত হয় দিনটি। ডেটা সুরক্ষা দিবসের একমাত্র লক্ষ্য হল সুরক্ষার অধিকার সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করা। সঙ্গে সকলে যাতে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পারে সে বিষয় সকলকে সচেতন করা।
ইউরোপের কাউন্সিল কর্তৃক এই দিনটি উদযাপন শুরু হয়। ইউরোপের কাউন্সিলের মন্ত্রীদের কমিটি ২০০৬ সালে ডেটা সুরক্ষা দিবস চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। বার্ষিক উদযাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল ২৮ জানুয়ারি দিনটি। ডেটা সুরক্ষা দিবস এখন বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। কোথাও এই দিনটি গোপনীয়তা দিবস নামেও পরিচিত।
ডেটা সুরক্ষা দিবস দিনটি ডিজিটালি অ্যাডভানসিং বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে আমরা প্রায় সকলে ডিজিটাল দুনিয়ার ওপর নির্ভর করে থাকি। এই ডিজিটাল দুনিয়ার নিজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রক্ষা করা সকলের প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে সতর্ক করতেই এই ডেটা সুরক্ষা দিবস দিনটি পালন করা হয়।
ডেটা সুরক্ষা দিবসে জেনে নিন কীভাবে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করবেন। আজ রইল কয়টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এই সকল বিষয় মেনে চলুন। এতে মিলবে নিজের উপকার। কারও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত না থাকলে হতে পারে বিপদ। তাই সর্বদা থাকুন সতর্ক। জেনে নিন কীভাবে রক্ষা করবেন সকল ব্যক্তিগত তথ্য।
সর্বদা নিজের সকল ব্যক্তিগত তথ্য যে ডিভাইসে রাখুন না কেন, তা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখবেন। আর এমন ডিভাইসে রাখুন যা থাকবে সুরক্ষিত। তেমনই সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে একটি কপি তৈরি করে নিন। সেগুলো আলাদা ভাবে সংরক্ষণ করুন। যাতে কোনও কারণে তা হারিয়ে গেলে আবার পুনরূদ্ধার করতে পারেন।
সর্বদা ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকউন্টে নিজের সব তথ্য দেবেন না। কিছু তথ্য গোপনীয় রাখা উচিত। তেমনই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট কিংবা কোনও অ্যাপ ব্যবহারের সময় সেখানে সেটিং-এ গিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য লক করে রাখুন। সর্বদা এমন সতর্কতার মেনে চলুন। তা না হলে নিজেই পড়তে পারেন বিপদে।
সর্বদা ফায়ারওয়াল ও অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যারের মতো ডিভাইস ব্যবহার করবেন। এগুলো ব্যবহার করলে সকল তথ্য সঠিক ভাবে রক্ষা করা সম্ভব। তা না হলে অজান্তে ভাইরাস ঢুকে তথ্য নষ্ট হতে পারে। তাই অবশ্যই ফায়ারওয়াল ও অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন। এতে আপনারই উপকার।
অপারেটিং সিস্টেমগুলো সব সময় আপডেট রাখুন। আর সেই সকল সিস্টেমের কার্যক্ষমতা ও নিরাপত্তা রাখুন আপডেটেড। এতে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নষ্ট হওয়া বা হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যখন ব্লুটুথ ডিভাইস ব্যবহার করবেন না তখন সেই ডিভাইস বন্ধ রাখুন। এতে তথ্য নষ্ট হওয়ার কোনও ঝুঁকি থাকবে না।
অসুরক্ষিত পাবলিক নেটওয়ার্ক না ব্যবহার না করাই ভালো। এতে আপনার ডেটা চুরি হতে পারে। তাই কোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করার আগে সে বিষয় বিস্তারিত জেনে নিন। তা না হলে আপনিই পড়তে পারেম বিপদে। নিরাপদ থাকতে ও হ্যাকারদের থেকে দূরে থাকতে চাইলে এমন ডিভাইসে ব্যক্তিগত তথ্য রাখুন যার সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ নেই।
তেমনই প্রয়োজন না হলে অফলাইন হয়ে যান। অনেকেই সারাদিন অনলাইন থাকেন। এতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যে কোনও অ্যাপ ব্যবহারের শেষ তা লকআউট করুন। তা না হলে আপনার সকল তথ্য হ্যাক হতে পারে। মেনে চলুন এই সকল বিশেষ টিপস। এতে মিলবে উপকার।
না জেনে কোনও লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। এক ক্লিকে আপনার সকল তথ্য লোপাট হতে পারে। এই ভুলে অধিকাংশ পড়েন বিপদে। হ্যাকারা এমন লিঙ্ক পাঠিয়ে তথ্য চুরি করে সহজে। তাই কখনও কোনও লিঙ্কে ক্লিক করছেন তা আগে থেকে জেনে নিন। মেনে চলুন এই সকল সতর্কতা। এতে মিলবে উপকার।