প্রতি বছর ৬ মাস পালিত হয় আন্তর্জাতিক বেকারত্ব দিবস। সারা বিশ্ব জুড়ে এই দিনটি পালিত হয়। বেকারত্ব একটি সামাজিক ব্যাধি ও সংকট। এই সংকট দূর করতে আন্তর্জাতিক বেকারত্ব দিবস।
পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বেকারত্ব দিবস। প্রতি বছর ৬ মাস পালিত হয় আন্তর্জাতিক বেকারত্ব দিবস। সারা বিশ্ব জুড়ে এই দিনটি পালিত হয়। বেকারত্ব একটি সামাজিক ব্যাধি ও সংকট। এই সংকট দূর করতে আন্তর্জাতিক বেকারত্ব দিবস।
১৯৩০ সালে, ৬ মার্চ বেকারত্বের ব্যাপক প্রতিবাদে মস্কোতে হাজার হাজার মানুষ বিশ্বের প্রধান শহরগুলোতে রাস্তায় নেমেছিলেন। বেকারত্বের সমস্যা দিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই প্রতিবাদ করেছিলেন তারা। মস্কোতে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল-র নির্বাহী কমিটিকে ৬ মার্চ ১৯৩০ সালে বেকারত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দিনটি নির্দিষ্ট করেন। এই দিনকে আন্তর্জাতিক বেকারত্ব দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
আন্তর্জাতিক বেকারত্ব দিবসের গুরুত্ব রয়েছে বিস্তর। প্রতিটি শহরে ক্রমে বেড়ে চলেছে বেকারত্ব। উচ্চ শিক্ষার পরও চাকরি পাচ্ছেন না অনেকে। আবার চাকরি পেলেও অনেকে তা হারিয়ে ফেলছেন। এদিকে সব জিনিসের দাম ক্রমে বেড়ে চলেছে। ফলে নিত্যজীবনযাপন অধিকাংশের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যাকে সকলের সামনে তুলে ধরতে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বেকারত্ব দিবস। আন্তর্জাতিক বেকারত্ব দিবসে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই সমস্যাটি সকলের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরা হয়।
তবে, এই প্রথম নয়। প্রায়শই কোনও না কোনও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা তুলে ধরতে বিশেষ দিবস পালিত হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে পালিত হয়েছে বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস। ক্যান্সার ক্রমে মারাত্মক মাত্রায় বিস্তার লাভ করে চলেছে। এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। তেমনই প্রতিদিন একাধিক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন এই মারণ রোগে। এই রোগ মানুষের শরীরের যে কোনও টিস্যুকে আক্রামণ করতে পারে। আর সঠিক সময় তা ধরা না পড়লে মানুষের প্রাণহানিও ঘটতে পারে। বর্তমানে ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান রোগে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৮ সালে ৯.৬ মিলিয়ন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। তাই ক্যান্সার সম্পর্কিত সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি পালিত হয় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস হিসেবে।
তেমনই ১৩ ফেব্রুয়ারী ছিল মৃগী দিবস। এই রোগ থেকে বাঁচতে কীভাবে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন, তা প্রচার করা হয়েছে। তেমনই ফেব্রুয়ারিতেই পালিত হয়েছে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। এভাবে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা জনগণের সামনে তুলে ধরতে পালিত হয় বিশেষ বিশেষ দিবস।