৩০ জানুয়ারি এবং ২৩ মার্চ কেন ভারতে দুবার শহীদ দিবস পালিত হয়, জেনে নিন এই দিনের মর্মান্তিক ইতিহাস

কেন বছরে দুবার শহীদ দিবস পালিত হয়? জেনে নিন কীভাবে ২৩ মার্চের শহীদ দিবসটি ৩০ জানুয়ারির শহীদ দিবস থেকে আলাদা। এই দিনটির সঙ্গে এর গুরুত্ব ও বিশেষ বিষয়গুলো কী কী।

 

৩০ জানুয়ারি পালিত হয়েছে শহীদ দিবস এবং আজ ২৩ মার্চ আবারও পালিত হচ্ছে শহীদ দিবস। এমতাবস্থায় অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে কেন বছরে দুবার শহীদ দিবস পালিত হয়? যদি আপনার মনেও এই প্রশ্ন থাকে, তাহলে জেনে নিন কীভাবে ২৩ মার্চের শহীদ দিবসটি ৩০ জানুয়ারির শহীদ দিবস থেকে আলাদা। এই দিনটির সঙ্গে এর গুরুত্ব ও বিশেষ বিষয়গুলো কী কী।

Latest Videos

কেন ৩০ জানুয়ারি থেকে ২৩ মার্চের শহীদ দিবস ভিন্ন

৩০ জানুয়ারী পালিত শহীদ দিবসটি মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকী হিসাবে পালিত হয়। এই দিনেই মহাত্মা গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই দিনটিকে খুবই দুঃখের দিন হিসেবে স্মরণ করা হয়। আর ২৩ মার্চ ভগৎ সিং, রাজগুরু ও সুখদেবের ফাঁসি হয়। তাই এই অমর শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে ২৩ মার্চ পালিত হয় শহীদ দিবস। এই দিনে এই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এই উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নীরবতা পালন করা হয় এবং বীরাঙ্গনাদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থণা করা হয়।

সেন্ট্রাল অ্যাসেম্বলিতে বোমা নিক্ষেপের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়

দেশের স্বাধীনতার জন্য বছরের পর বছর সংগ্রাম চলে। দেশের স্বাধীনতার জন্য অনেক বীর সন্তান হাসতে হাসতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। ভগৎ সিং, রাজগুরু এবং সুখদেবও ছিলেন সেই সাহসী ছেলেদের একজন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে এই তিনজন জননিরাপত্তা ও বাণিজ্য বন্টন বিলের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় পরিষদে বোমা নিক্ষেপ করেন। এরপর ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ তাঁদের গ্রেফতার করে ফাঁসি দেওয়া হয়।

জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনা ভগৎ সিংয়ের ওপর প্রভাব ফেলেছিল

বলা হয় যে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড ভগৎ সিংয়ের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ১৯১৯ সালে ব্রিটিশদের এই গণহত্যা ভগৎ সিংয়ের জীবন বদলে দেয়। সেই সময় ভগৎ সিং-এর বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। কথিত আছে যে ভগৎ সিং জালিয়ানওয়ালাবাগেই ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ করেছিলেন।

সাহসী ছেলেদের সম্পর্কে যা না জানলেই নয়-

ভগত সিং ১৯০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পাঞ্জাবের লায়ালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। যেখানে সুখদেবের জন্ম ১৫ মে, ১৯০৭ সালে পাঞ্জাবের লায়ালপুরে। কথিত আছে, লায়লপুরে উভয়ের পরিবার এক সঙ্গে থাকত। এই কারণে উভয় নায়কের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ছিল। দুজনেই একই কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন। সুখদেব সন্ডার্স হত্যা মামলায় ভগত সিং এবং রাজগুরুকে সমর্থন করেছিলেন। ভগৎ সিংয়ের স্লোগান 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ' বেশ বিখ্যাত। যেখানে রাজগুরু ২৪ আগস্ট, ১৯০৮ সালে পুনে জেলার খেদাতে শহীদ হন। শিবাজীর গেরিলা শৈলীর ভক্ত হওয়ার পাশাপাশি তিনি লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলকের চিন্তাধারা দ্বারাও প্রভাবিত ছিলেন।

Share this article
click me!

Latest Videos

ফের বড়সড় অভিযানে ইডি! একাধিক ঠিকানায় একযোগে ইডির হানা! দেখুন | ED Raid Today
‘পুলিশ না থাকলে তৃণমূলকে কেউ ভয় পেতো না’ মমতাকে ঝাঁঝালো আক্রমণ সুকান্তর! দেখুন কী বললেন | Sukanta M
‘চাকরিপ্রার্থীদের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে মমতা দার্জিলিং পালিয়েছে’ শুভেন্দুর তীব্র আক্রমণ মমতাকে!
'আমি কিছু করিনি, আমায় ফাঁসিয়েছে বিনীত গোয়েল' চিৎকার সঞ্জয় রায়ের | Sanjay Roy | RG Kar Case
‘পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের ক্ষমতা এবার দেখবে তৃণমূল’ তৃণমূলকে হুঙ্কার শুভেন্দুর! | Suvendu Adhikari