World Suicide Prevention Day: আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস, আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষদের সঙ্গে কী কী করা উচিত নয়?
আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। সারা বিশ্বে প্রত্যেক বছর প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করে জীবন শেষ করে দেন। ২০২১ সালের রেকর্ড বলছে, মাত্র ১ বছরের মধ্যে শুধুমাত্র ভারতেই আত্মহত্যা করে মারা গেছেন দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ।
আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষদের ক্ষেত্রে আশেপাশের মানুষদের ব্যবহারই বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যার হার কমিয়ে আনতে পারে। জেনে নিন, অবসাদগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার কখনওই করা উচিত নয়।
মনে রাখবেন, অন্যদের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য কেউ কখনওই আত্মহত্যাপ্রবণ হন না। আশেপাশের মানুষদের জিজ্ঞেস করুন, তাঁরা কেমন আছেন। অবসাদকে অবহেলা করবেন না।
সমাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া মানুষদের খোঁজ নিন। বুঝিয়ে দিন যে, নিজের সহ্যসীমার শেষ অবধি প্রমাণ করার দরকার নেই। সমস্যার সুরাহা না করতে পারলে শুধুমাত্র তাঁকে কিছুটা সময় দিন।
দুর্ভাবনাগ্রস্ত মানুষদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। তাঁরা সহজে উত্তেজিত হয়ে উঠলে সমালোচনা করবেন না, কেউ নিজের দুঃখ প্রকাশ করে ফেললে তাঁকে লজ্জিত বোধ করাবেন না।
সোজাসুজি সহজভাবে কথা বলা শুরু করুন। কঠিন পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়া স্বাভাবিক, কিন্তু, পরিস্থিতির সময়সীমা খুব ছোট, এটা মানুষকে বুঝতে সহায়তা করুন। আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষদের কখনওই স্বার্থপর বলবেন না, স্বার্থপর ভাববেন না। নিজের সহ্য ক্ষমতার উদাহরণ দেবেন না।
জীবনে কেন বেঁচে থাকা দরকার, সেটা মানুষকে বুঝতে সাহায্য করুন। কঠিন রাস্তার শেষটা সাফল্যপূর্ণ হতে পারে, অথবা বন্ধ রাস্তার বিকল্প পথ থাকতে পারে, এটা বুঝিয়ে বলুন। অন্য মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা নেই, এমন কথা কখনও বলবেন না। অন্য যেকোনও কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া মানুষের উদাহরণ দেখাবেন না।
মনে রাখবেন, আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষরা সহজে কারুর সাহায্য চান না। এঁদের দুঃখ অথবা সমস্যাকে ছোট করে দেখবেন না। আমরা প্রত্যেকেই কোনও-না-কোনও সময়ে দুঃখিত হই, এমন কথা কখনও বলবেন না। মনে রাখবেন, প্রত্যেকের সমস্যা প্রত্যেকের নিজের কাছে অত্যন্ত বিশেষ।
'দিবস' যা কিছু হোক-না-কেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধ প্রত্যেক দিনের। সারা জীবনের। মানুষের পাশে দাঁড়ান। সাহায্য করতে অক্ষম হলে শুধু তাঁদের কথা শুনুন। নিজে কখনও আত্মহত্যা করার কথা ভাবলে বিকল্প পথের খোঁজ করুন। সম্পর্ক নির্বিশেষে নিজের জীবন থেকে সমস্ত নেতিবাচক মানুষদের দূর করুন। আপনার কথা শুনতে পারেন, বয়সকাল বিচার না করেই এমন মানুষের সান্নিধ্যে যান।