২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকেই অটোমোবাইল ইন্ড্রাস্ট্রির মন্দা শুরু হয়েছিল যা থেকে এখনও পুরোপুরি বেরোতে পারেনি গাড়ি নির্মাণ সংস্থাগুলো। তারই ফলশ্রুতি মারুতি সুজুকি-এর এই খরচ কমানোর পরিকল্পনা। ভারতের সবচেয়ে বড়ো এই গাড়ি নির্মাণ সংস্থাটি এর আগে কখনও এমন লোকসানের মুখোমুখি হয়নি। গত বছর ফেব্রুয়ারির তুলনায় এই বছরের ফেব্রুয়ারি হিসেব অনুযায়ী ২.৩ শতাংশ বিক্রি কমেছে মারুতি সুজুকির।এই বছরের জানুয়ারি মাসে যে ০.৩ শতাংশ ক্রমবৃদ্ধি ঘটেছিল তার বিপরীত দিকে রয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসের তথ্য। যাত্রীবাহী গাড়ির নির্মাণ সংখ্যা কমানোর দিকে লক্ষ দিয়েছে মারুতি সুজুকি। গত মাসে ৪.৮৭ শতাংশ খরচ কমিয়েছে তারা। এমনিতে ১,৪০,৩৭০ ইউনিট যাত্রীবাহী গাড়ি তৈরি হয়, গত মাসে ১,৪৭,৫৫০ ইউনিট গাড়ি তৈরি হয়েছে।
মারুতি সুজুকি তৈরি করেছে ২৯,৬৭৬ ইউনিট মিনি কার যথা- অল্টো, এস প্রেসো তৈরি করেছে গত মাসে। ৫.১৬ শতাংশ যা কিন্তু বেড়ে গেছে গতবছরের তুলনায়, ২৮,২২১ ইউনিট গাড়ি তৈরি হয়েছিল গতবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। তবে ওয়াগনার আর, সুইফট, ডিজায়ার, ব্যালেনো তৈরির হার নিম্নমুখী, ৫.৫৫ শতাংশ কমে গেছে আগের বছরের তুলনায়। মারুতি সুজুকি ইকো আর ওমনি তৈরির ওপরও লাগাম টেনেছে। আগের বছরের ফেব্রুয়ারি ১৬,৮৬৫ সংখ্যক গাড়ি তৈরি হয়েছিল, এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে কমে হয়েছে ১০,৮৯৮ইউনিট। সরাসরি ৩৫.৭ শতাংশ কম। কিন্তু সিয়াজ গাড়িটির ক্ষেত্রে গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, প্রায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে, গতবছরে ২,৭২৯ ইউনিট তৈরি হয়েছিল, এবছরে বেড়ে হয়েছে ২,৯৫০ ইউনিট। ইউটিলিটি ভেহিকেলসের ক্ষেত্রেও এই একই ধারাবাহিকতা লক্ষ করা গেছে, ইউভি গাড়ি যথা এক্সএল৬, এরটিগা, এস প্রেসো, ভিতারা ব্রেজা পেট্রল প্রভৃতি তৈরির হার বেড়েছে। এই বছরে ২১,৭৩৭টি ইউনিট উৎপন্ন হয়েছে, এই একই সময়ে আগের বছরে ২০,১৪৬ ইউনিট গাড়ি তৈরি হয়েছিল।
এই প্রথমবার নয়, আগেও গাড়ির উৎপাদন সংখ্যা কমিয়েছিল মারুতি সুজুকি। ২০১৯ এর ডিসেম্বর মাস অবধি প্রায় ৯ মাস চলেছিল এই উৎপাদন কমানোর প্রক্রিয়া চলেছিল। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে এই সংস্থার উৎপাদন বৃদ্ধি ঘটেছিল ৪.৩ শতাংশ। পথ এখনও মসৃণ নয়, পরিসংখ্যাও আশাপ্রদ নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২০ সালের শেষের দিকে অটোমোবাইল ইন্ড্রাস্ট্রিতে পুনরুত্থানের আশা আছে, এখনও সামনের কিছু মাসে পরিস্থিতি উদ্বগের, বিএস ৬ ডেডলাইনও শেষ হতে চলেছে শীঘ্রই।