২৫ জানুয়ারি, সোমবার অর্থাৎ আজ 'জাতীয় ভোটার দিবস' উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন e-EPIC-এর সুবিধা শুরু করেছে। আজ থেকে আপনি বাড়ি থেকে আপনার ভোটার আইডির একটি পিডিএফ (PDF) কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে অর্থাৎ আজ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এই সুবিধা চালু করেছিলেন এবং পাঁচ ভোটারকে ইলেক্টর ফটো পরিচয়পত্র দিয়েছেন।
ই-ভোটার আইডি (e-Voter ID) কার্ডটি নিরাপদে ডিজিটালি মোবাইল অথবা পার্সোলানি ডেক্সটপেও সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। এই প্রবর্তনের পরে, এখন যে কোনও ব্যক্তি কোনও সমস্যা ছাড়াই তাদের মোবাইল ফোনে বা ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ভোটার আইডির পিডিএফ (PDF) কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের মতে, ই-ভোটার আইডি কার্ডটি ডিজিটালি নিরাপদে রাখা সম্ভব হবে। এটির সাহায্যে এটি ডিজিটাল ফর্ম্যাটেও প্রিন্ট করা যায়। লক্ষণীয় বিষয় হল, নির্বাচন কমিশন ১৯৯৩ সালে ভোটার আইডি কার্ডটি শুরু করে। এই নথিগুলি এখন মানুষের পরিচয় এবং ঠিকানাগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন- মানুষ সমান বরফে ঢাকা উপত্যকা, কঠিন পরিস্থিতিতে মা ও নবজাতকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী ...
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এই সুবিধা সম্পর্কে জানিয়েছেন যে, বর্তমানে ভোটার আইডি ছাপানো এবং জনগণের কাছে তা পৌঁছতে সময় লাগে। তবে এই e-Voter ID সুবিধা চালু হওয়ার পরে লোকেরা সহজেই তাদের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। ২০২০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে যে সমস্ত নতুন ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন এবং যাদের মোবাইল নম্বরও সংযুক্ত করেছেম, তাদের প্রথমে ই-কার্ড দেওয়া হবে। তারা একটি এসএমএস পাবেন যার সাহায্যে তারা ২৫ জানুয়ারী থেকে ৩১ জানুয়ারী ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল ভোটার পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে সক্ষম হবে।
এই ডিজিটাল ভোটার পরিচয়পত্রের সুবিধাটি হল প্রতিবার আপনি কোনও শহর বা রাজ্য পরিবর্তন করলে আপনাকে নতুন কার্ড তৈরির ঝামেলার মুখোমুখি হতে হবে না। শুধুমাত্র ঠিকানা পরিবর্তন করে আপনি তা আপডেট করে ডাউনলোড করতে পারবেন। 'এক জাতি-এক নির্বাচন কার্ড' এর দিক নির্দেশের একটি বড় পদক্ষেপ। এই e-EPIC কার্ডটি (PDF) ফর্ম্যাটে পেতে ভোটাররা এই লিঙ্কে ক্লিক করুন এবং এই লিঙ্কে ক্লিক করুন এই দুই ওয়েবসাইটে গিয়ে এই কার্ডটি অ্যাক্সেস করতে পারবেন।