সপরিবারে খেতে বসুন, ফল পাবেন হাতেনাতে

মনোবিদরা বলছেন ব্রেকফাস্ট হোক বা ডিনার অন্তত একবার সপরিবারে খাওয়ার খান। ফল মিলবে হাতেনাতে।

arka deb | Published : Apr 29, 2019 5:00 AM IST

চেহারাই যেন সপ্রতিভ নয়। আত্মবিশ্বাসের অভাব তো রয়েছেই, শরীরটাও যেন ঠিক জুতের নয়। চালচলন, কথা বলাতেই যেন ধরা পড়ে যায় চোরা অস্বস্তি। মনোবিদদের ভাষায় বললে পজিটিভ বডি ইমেজ ডেফিসিয়েন্সি। 

মুখে বলি বা না বলি, আমাদের মধ্যে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগি। রোজের জীবনযাপনের চাপে নাভিশ্বাস মানুষ এই সমস্যার শিকার। মনোবিদরা অবশ্য বলছেন গলদ গোঁড়ায়। দাওয়াইও দিচ্ছেন তাঁরাই। বলেছেন স্থূলের ভুলটি সারাতে পারলে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে  এই ধরণের সমস্যা থেকে।

Latest Videos

কী সেই নিদান। মনোবিদরা বলছেন ব্রেকফাস্ট হোক বা ডিনার অন্তত একবার সপরিবারে খাওয়ার খান।

ভার্জিনিয়া রামেসরের নেতৃত্বে ওয়াশিংটনের ৩০০ স্কুলে ১২০০০ বাচ্চার ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়ছে যাঁরা অন্তত একবার পরিবারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করে, সেই সব শিশুরা অনেক বেশি সপ্রতিভ। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় উপকৃত হন শিশুর বাবা মাও।

জানুন কী খাবে সাহায্য করে এক  সঙ্গে খাওয়াদাওয়া-

১. প্রথম এবং প্রধান উপকারিতাটি কিন্তু শিশু-কিশোরদের। এই বয়সের ছেলেমেয়েদের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা-ভয় কাজ করে নানা বিষয়ে। ডিনারে পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে পেলে তাদের আত্মবিশ্বাস ও পরিবারের প্রতি আস্থা বেড়ে যায়। তারা অনেক বেশি সুরক্ষিত বোধ করে। ২০১৬ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে ৭১ শতাংশ টিনএজার মনে করে যে ডিনার খাওয়ার থেকেও বেশি তারা পছন্দ করে ওই সময় বাড়ির সকলের সঙ্গে গল্প করা বা দেখা হওয়া। দেখা গিয়েছে যে সব পরিবারে এই চল রয়েছে, সেই পরিবারের শিশুরা পড়াশোনায় বেশ এগিয়ে থাকে। ‘কাসা’-র একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, যে সব বাচ্চারা সপ্তাহে অন্তত ৫-৭দিন পরিবারের সবার সঙ্গে বসে ডিনার করতে পারে, তাদের মধ্যেই ‘এ’ এবং ‘বি’ গ্রেড পাওয়ার সংখ্যা বেশি। 

২. ২০০৮ সালে, আইবিএম সংস্থার কর্মীদের মধ্যে একটি সমীক্ষা করে ব্রিঘাম ইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়। সমীক্ষায় দেখা যায় যে ফ্যামিলি ডিনার যে কোনও ধরনের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। কাজের জায়গায় দীর্ঘক্ষণ কাটানোর পরে বাড়ি ফিরে এসে সবার সঙ্গে একসঙ্গে বসে ডিনার সারলে অনেকটা স্বস্তি আসে। 

৩. প্রত্যেকেই চান, ডিনারে গরম গরম খাবার পরিবেশিত হোক। সবাই মিলে একসঙ্গে না খেলে, বার বার খাবার গরম করার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এর ফলে খাবারের খাদ্যগুণ অনেকটা কমে যায়। রান্না করার সময়ে এমনিতেই খাদ্যগুণ কমে যায় ২৫ শতাংশ। এর পরে সেই খাবার ফ্রিজে রাখলে আরও ৫ শতাংশ কমে খাদ্যগুণ। তার পরে আবারও গরম করলে খাদ্যগুণ কমে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ। 

৪. একসঙ্গে ডিনার সারার অভ্যাস থাকলে জীবনযাপনে অনেক বেশি শৃঙ্খলা আসে। কারণ এর জন্য নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফিরতেই হয় এবং ডিনারের পরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়। কাজের প্রয়োজনে, বা কখনও-সখনও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাতের কারণে ফ্যামিলি ডিনার স্কিপ করে বেশি রাতে ফেরা যায় কিন্তু এমনটা প্রতিদিন হলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা ভাল না। ক্রিস্টোফার র‌্যান্ডলার, জার্মানির হাইডেলবার্গে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ এডুকেশনের অধ্যাপক, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোনোর অভ্যাস নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন। তাঁর মতে, যে সব চাকুরিজীবীরা তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান ও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষমতা বেশি থাকে, সেন্স অফ হিউমার অপেক্ষাকৃত ভাল হয় এবং এঁদের পেশাগত সাফল্যও অনেক বেশি হয়। 

৫. রাতে পরিবারের সঙ্গে ডিনারের অভ্যাস থাকলে 

খুব স্বাভাবিকভাবেই নিয়মিত বাইরে খাওয়ার ঝোঁকটা কমে। পৃথিবী জুড়ে পুষ্টিবিদ ও লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞদের এই ব্য়াপারে কোনও দ্বিমত নেই যে বাড়ির খাবারই নিয়মিত খাওয়া শরীর-স্বাস্থ্য়ের পক্ষে ভাল।

Share this article
click me!

Latest Videos

‘সবরমতি রিপোর্ট’ দেখলেন বিজেপির হেভিওয়েটরা! দেখুন কী বার্তা দিলেন সিনেমার ব্যপারে | Sabarmati Report
বাগদায় ফের চলল বুলডোজার! হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ৬টি দোকান | Bagdah News
নার্স হেনস্থার ঘটনায় বড় পদক্ষেপ! হাসপাতাল চত্বরে কড়া সিসিটিভি নজরদারি | Birbhum News Today
টাকা 'হজম' করার আগেই ধরে ফেলে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari | Awas Yojana
Mamata Banerjee Live: নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা, দেখুন সরাসরি