২০ হাজার টাকার ভিতরে ফোনে নজর টানতে পারে পোকা এক্স ২, দেখে নিন এর পারফরম্যান্স

  • পোকো এফ ১-এর সাফল্যের পরে পোকো এক্স ২-কে ঘিরে অনেক প্রত্যাশা
  • এর ব্যাটারি লাইফ, ক্যামেরার পারফরম্যান্স এবং রেটিং নিয়ে সকলের জিজ্ঞাস্য
  • ২০,০০০টাকার মধ্যে ফোনের সঙ্গেই জবরদস্ত প্রতিযোগিতা হবে পোকো এক্স ২ ফোনের

samarpita ghatak | Published : Feb 7, 2020 12:30 PM IST

পোকো এক্স ২ ফোনে আছে স্ন্যাপড্রাগন ৭৩০জি চিপসেট যার ফলে ফোন ধীরগতি হয়ে যায় না সহজে। ফোনটির  আয়তন বড়ো হওয়ায় ফোনটির ডিসপ্লের চারিদিকে আঙুল নিয়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে।   খুব বেশি গরম হয়ে না গেলেও গেম খেলা ও ক্যামেরা ব্যবহারের সময় অল্প গরম হয়ে গিয়েছিল এই ফোন। পাওয়ার বটন আছে ডানদিকে, ডানদিকেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, তাই বাঁহাতে এই ফোন আনলক করাটা অসুবিধেজনক

স্ক্রিন উজ্জ্বল ও সুন্দর আর ভিউয়িং অ্যাঙ্গল দুর্দান্ত।  তবে ক্যামেরার ওপরে হোল-পাঞ্চ ডিজাইন ব্যবহারকারীর সামান্য বিরক্তির কারণ হতেও পারে।   হোল-পাঞ্চ কাট আউটের চারদিকে ব্যাকলাইটে অসামাঞ্জস্য লক্ষ্য করা গেছে। 

এই ফোনের নীচে সিঙ্গেল স্পিকার আছে, কিন্তু শব্দের মাত্রা তীব্র, গভীর এবং গমগমে।  সঙ্গীতের গুণ নষ্ট হয়ে যায় যদি ৬০ শতাংশের বেশি ভল্যুম বাড়িয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু তার থেকে কম হলে শোনার অভিজ্ঞতা দিব্য সুন্দর। 

এএনটিইউটিইউ বেঞ্চমার্ক পরীক্ষায় পোকো এক্স ২ পেয়েছে ২,৮০, ৯১২ নম্বর যা অত্যন্ত ভালো স্কোর। গিকবেঞ্চ ৫ বেঞ্চমার্ক পরীক্ষায় সিঙ্গেল কোর টেস্টে পেয়েছে ৫৪৮ ও মাল্টিকোর টেস্টে পেয়েছে ১৭৫৯। এখন যে গেমগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেই গেমগুলো এই ফোনে খেললে ভিস্যুয়াল এফেক্ট যা পাওয়া গেছে তাতে সুখকর অভিজ্ঞতাই হবে এ নিশ্চিত করে বলা যায়। পিইউবিজি খেলা গেছে কোনো অসুবিধে ছাড়াই। অ্যাস্ফ্যাল্ট ৯- লিজেন্ডস ও খেলা গেছে ভালোভাবে।

পোকো এক্স ২ ফোনের ব্যাটারি যথেষ্ট ভালো। এইচডি ভিডিও লুপ টেস্ট-এ ১৩ ঘন্টা, ৪৩ মিনিট চলেছে পোকো এক্স ২। একবার চার্জ দিয়ে একটা গোটা দিন ব্যবহার করা যাবে এই ফোন। 

পোকো এক্স ২ ফোনে মোট ৬টা ক্যামেরা আছে- ২টো ফ্রন্ট ক্যামেরা, ৪টে রিয়ার ক্যামেরা।  ক্যামেরা ফোকাস যথেষ্ট ভালো। ছবির রঙ, এক্সপোজার ও ডিটেল বেশ ভালো।  ডেপথ -অফ ফিল্ড এফেক্ট দারুণ। সূক্ষ্ম ডিটেল খারাপ নয় একেবারেই তবে কম আলোয় তোলা ছবিতে ডিটেলস হারিয়ে যাচ্ছে এবং নয়েজ ও আসতে পারে। ওয়াইড অ্যাঙ্গল ছবিগুলো ততটা ভালো নয় যতটা আশা করা হয়েছিল। ম্যাক্রো ক্যামেরায় ছবি হয়ে যেতে পারে ওভার এক্সপোসড। আবার সাবজেক্ট যদি ছায়ায় থাকে তাহলে ছবির কোয়ালিটি একটু ভালো হবে। নাইট মোড অনেকটাই ভালো, রাতে ব্রাইটনেস ভালো কাজ করে এই ফোনের ক্যামেরায়।  পোট্রেট সেলফির ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল অ্যাপারচার ডেপথ ও ইন্টেন্সিটি ঠিক করে দেয়। এই ফোনের ডিটেক্টশন যথেষ্ট ভালো। কিন্তু ফ্রন্ট ক্যামেরার পারফরম্যান্স যতটা আশা করা হয়েছিল ততটা ভালো নয়। পোট্রেটে ব্লার নিয়ন্ত্রণ করার সুবিধে আছে এই ফোনে কিন্তু দিনের বেলা বেশি আলোয় ক্যামেরার ব্লার কৃত্রিম মনে হতে পারে। বিউটিফিকেশন মোড বন্ধ করতে চাইলে তা বেশ অসুবিধেজনক মনে হতে পারে। ভিডিওর ক্ষেত্রে দিনের বেলার ভিডিও বেশ সুন্দর। ১৯২০*১০৮০ রেসোলিউশন থাকে ভিডিওগ্রাফিতে। কিন্তু যেই ৪কে-তে চলে যাওয়া হবে তখনই রঙ অতিরিক্ত এসে যায়।  রাতের ভিডিওগ্রাফি সুখদায়ক অভিজ্ঞতা নয়, জার্ক ও এক্সপোজার সমস্যা আছে রাতের ভিডিওয়।

সবশেষে সমস্ত কিছু বিচার করার পর যে কথা আসল বলে মনে হয় তা হল, কম দামে এত ধরণের স্পেসিফিকেশন এই ফোনে আছে যা সত্যিকারের সাফল্যের চাবিকাটি। এই দামে এত কিছু বৈশিষ্ট্য পাওয়া দুষ্কর।  আর আমাদের দেশে আকর্ষণীয় স্পেশিফিকেশন ও ক্রয়ক্ষম দাম আসল বিচার্য বিষয়।  

Share this article
click me!