গরমকালে পটল খেতে খেতে মনে হয়, আর কতদিন? কিন্তু জানেন কি এই পটলের উপকারিতা কিছু কম নয়? এককাপ থেকে ২০ কিলোক্য়ালোরি পাওয়া যায়। এছাড়া পাওয়া যায় কপার ১২২.২২ শতাংশ, ভিটামিন-সি ৩২.২২ শতাংশ। আয়রন ২১.২৫ শতাংশ। ডায়েটারি ফাইবার ৭.৮৯ শতাংশ। ফসফরাস ৫.৭১ শতাংশ। এছাড়াও থাকে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি-১, ভিটামিন-বি-২, ভিটামিন-সি।
পটল রক্ত পরিশোধনের কাজ করে। সাধারণ শর্দিকাশি, জ্বরজারির হাত খেকে রক্ষা করে। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, ইমিউনিটিকে বুস্ট করার ক্ষমতা আছে। যদি আপনি নিয়মিত পটল খেতে থাকেন, তাহলে কথায়-কথায় ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রেহাই পাবেন। পটলে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য় করে। বিভিন্ন গ্য়াস্ট্রোইনটেনস্টাইনের সমস্য়ায় খুব ভাল কাজ করে পটল। কাজেই খাদ্য় তালিকায় রোজ যদি পটল থাকে, তাহলে তা পরিপাকের কাজে সহায়ক হবে।
বয়স হলে ত্বকে, বিশেষ করে মুখের চামড়ায় কিছু ভাঁজ বা বলিরেখা দেখা দেয়। পটলে খুব ভাল পরিমাণ অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন-বি ও সি থাকে, যা এই বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। বয়সের কারণে যে বার্ধক্য়ের ছাপ আসে তা স্বাভাবিক। কিন্তু ধুলো-ধোঁয়ার কারণে যা ঘটে, তার সঙ্গে যুঝতে পারে এই পটল।
পটলে থাকা বীজ কোষ্ঠকাঠিন্য়ে সাহায্য় করে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কোলেস্টেরল কমাতে খুব সাহায্য় করে। এখনকার দিনে ওজন কমিয়ে সুস্থ থাকতে কে না চায়। কত ঝামেলা করে আমাদের ওজন কমাতে হয়। তাই ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত খান পটল।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, মাথাব্য়থা কমাতে সাহায্য় করে পটলের মূল। যা পেস্ট করে মাথায় লাগিয়ে শুকিয়ে নিলে ব্য়থা কমে।