আজ থেকে শুরু হয়ে গেল রমজান। ইসলামিক ক্য়ালেন্ডার অনুসারে এই সময়কে অত্য়ন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই সময় জুড়ে বহু কিছু নিষেধাজ্ঞা পালন করতে হয় মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষদের।
১৪০০ বছর আগে এই সময় উপবাস করার রীতি চালু হয়। ১২, ১৬ অথবা ২৪ ঘণ্টার জন্য় উপবাস করার জন্য় রীতি রয়েছে। এছাড়াও সপ্তাহে ২ বার টানা ৩৬ ঘণ্টা উপবাস করার রীতি রয়েছে।
কিন্তু এ কী শুধুই ধর্মীয় রীতি! চিকিৎসকরা দাবি করছেন, উপবাস করা স্বাস্থ্য়ের পক্ষেও বিভিন্ন দিক থেকে উপকারী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্য়ম আল জাজিরা-র একটি প্রতিবেদন থেকে এমনই জানা গিয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, দিনের বেলায় উপোস করে থাকা স্বাস্থ্য়ের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী। কোলেস্টেরল, ওবেসিটি, হার্টের সমস্য়ার সঙ্গে মোকাবিলা করতে এই উপবাস যথেষ্ট উপকারী। এছাড়া মেন্টাল হেলথ-এর জন্য়ও মাঝে মধ্য়ে উপবাস করা স্বাস্থ্য়কর।
এছাড়া অনেকটা সময় না খেয়ে থাকলে শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বের হতে সুবিধা হয়। কারণ এই সময়টা ডাইজেস্টিভ সিস্টেমটাই পুরো বিশ্রামে থাকে।
নিউট্রিশনিস্ট ক্লেরি মাহি আল জাজিরাকে জানান, শরীরের কোষে বিভিন্ন ধরনের বিপজ্জনক পার্টিকল জমে থাকে। উপোশ করায় এই সময়ে কোষগুলি পরিষ্কার হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন ডায়জিস্টিভ সিস্টেমের সঙ্গে মেন্টাল হেলথেরও সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঝে মধ্য়ে উপোস করলে ব্রেন সেলগুলি সুস্থ থাকে। ব্রেন সেল থেকে ডিপ্রেশন ও অ্য়ানজাইটি হ্রাস পায়। এছাড়াও পরবর্তী কালে ডিমেনশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
এছাড়াও ঠিক করে নিয়ম মাফিক উপোশ করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদের পরিমাণ কমে এবং পেশি শক্তিশালী হয়।
উপোশ করার অনেক গুণাগুণ থাকলেও প্রত্য়েকের জন্য় একই রকম ফলাফল না-ও হতে পারে। যাঁদের একেবারে অভ্য়েস নেই তাঁদের জন্য় উপোশ একই রকম উপকারী না-ও হতে পারে।
যাঁরা চিকিৎসকের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ খান, বা কোনও শারীরিক সমস্য়া রয়েছে, তাদের অবশ্য়ই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উপোশ করা উচিত। এছাড়া যাঁদের লো ব্লা়ড প্রেশার বা লো ব্লাড সুগারের সমস্য়া রয়েছে তাদের উপোশ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তাই এই রমজানের সময়ে উপোশ করলেও নিজের শরীরের দিকটাও মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।